যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের খোঁজ, দোলের আগে শহরে এল ভেষজ আবির

  • সম্প্রতি ভেষজ আবির 'রাঙামাটি' লঞ্চ হল কলকাতার প্রেস ক্লাবে 
  • রাঙামাটি, বিজ্ঞানের নিরাপদ ব্যবহারের একটি সফলতম পরীক্ষা 
  •  ফুল ও পাশাপাশি সবজিকে রঙ-র উৎস হিসাবে ব্য়বহার করা হচ্ছে 
  •  ত্বকের জন্য় তা মোটেই ক্ষতি কর নয়,  শরীরের জন্য় তা উপকারীও  

Ritam Talukder | Published : Mar 7, 2020 10:03 AM IST / Updated: Mar 07 2020, 04:21 PM IST


সম্প্রতি ভেষজ আবির 'রাঙামাটি' লঞ্চ হল কলকাতার প্রেস ক্লাবে। ভেষজ আবির 'রাঙামাটি', বিজ্ঞানের নিরাপদ ব্যবহারের একটি সফল পরীক্ষা। এই পরীক্ষা-নিরীক্ষার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মী এবং ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা। প্রযুক্তিগত সহযোগিতা পাওয়া গিয়েছে দুর্গাপুরের ডিআইএটিএম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকেও। প্রেস ক্লাবের ওই অনুষ্টানে উপস্থিত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ফুড টেকনোলজি ও বায়োক্য়ামিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিং-র প্রফেসর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস, এই প্রজেক্টের অন্য়তম যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের প্রো ভিসি সিদ্বার্থ দত্ত-র সহকারী রবি বোস, বায়োটেকনোলজিস্ট মধুমিতা সরকার এবং কোম্পানির তরফে কৃষ্ণাণু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং অরুনাভ পাত্র। 

 

 

আরও পড়ুন, উপাচার্যের ইস্তফার জের, কার্যত অচল হওয়ার আশঙ্কায় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়


বাংলার বসন্তে দোল আসে ফাগুনের সাতরঙা ক্যানভাস নিয়ে। নতুন আলো, নতুন প্রাণকে স্বাগত জানাতে সেই ক্যানভাসে মিশে যায় পলাশ, কৃষ্ণচুড়া, জারুল, শিমুল, অমলতাসের দল। প্রকৃতির এই রঙের বন্যায় যেন ডুবে যেতে চায় শহরবাসী। সেই প্রতিশ্রুতিটাই বেঁধে দেয় দোল উৎসবের ছন্দ।  তবু কোথাও যেন সেই ছন্দটা কেটে যাওয়ার একটা ইঙ্গিত মিলছে। মানুষ আর প্রকৃতির হাজার-হাজার বছরের সহাবস্থানে যেন ছন্দপতনের শব্দ। সেই প্রসঙ্গেই 'রাঙামাটি' তরফে কর্মকর্তারা জানালেন, ' বিষাক্ত রাসায়নিক আর যন্ত্রসভ্যতার বেহিসেবি ব্যবহারে আমরা জর্জরিত, বিষাক্ত, রোগগ্রস্ত। আমাদের শরীর জুড়ে বিষের এই প্রবাহ আমরা ঢেলে দিচ্ছি প্রকৃতির বুকেই। একই সঙ্গে দূরে সরে যাচ্ছি প্রকৃতির সম্পদেই নিজেদের রাঙিয়ে নেওয়ার পরম্পরা থেকে। বিষ জর্জরিত পৃথিবীকে ফের সবুজ-রঙিন আধুনিকতার পরিবেশ বানানোর লড়াইতে এই ফাগুনেই শুরু হল আমাদের পথচলা। আর এই রাস্তায় আমরা সঙ্গী হিসেবে বেছে নিয়েছি প্রকৃতিকেই। জল-জঙ্গল-বাজারের উদ্বৃত্ত, অবহেলিত, ফেলে দেওয়া ফুল-বীজ-আগাছা থেকে সম্পদ ছেঁচে আনছি আমরা। সেই সন্ধানেরই ফসল  রাঙামাটি- বিজ্ঞানের নিরাপদ ব্যবহারের একটি সফল পরীক্ষা।'

আরও পড়ুন, ফের গর্ভ ভাড়া দিয়ে প্রতারণার অভিযোগ, ভ্রুণ হত্যায় গ্রেফতার তরুণী ও প্রেমিক

 যাদবপুর বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ফুড টেকনোলজি ও বায়োক্য়ামিক্য়াল ইঞ্জিনিয়ারিং-র প্রফেসর প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস জানালেন,  যাদবপুরের প্রাক্তনীদের সঙ্গে ভেষজ আবির নিয়ে কাজ করতে পেরে ভীষণই গর্বিত। যা সম্পূর্ণই পরিবেশ বান্ধব। মূলত ফুল এবং পাশাপাশি সবজিকে রঙ-র উৎস হিসাবে ব্য়াবহার করা হচ্ছে। 'রাঙামাটি'-র তরফে কৃষ্ণাণু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় জানালেন প্রথমত এই বিপুল পরিমান ফুলের অনেকটাই সংগ্রহ করা হচ্ছে মল্লিকঘাট এলাকা থেকে। তাজা ফুলের পাশাপাশি ব্য়বহার করা ফুলকেও পুনরায় কাজে লাগানো হচ্ছে। রঙ-র গুণগত মান তাই খুব ভাল। ব্য়বহার করলে ত্বকের জন্য় তা মোটেই ক্ষতি কর নয়। বরং শরীরের জন্য় তা উপকারীও বটে। 

আরও পড়ুন, 'চুমু খেতে মানা', করোনা সচেতনতায় নির্দেশিকা কলকাতা মেট্রোর

Share this article
click me!