সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাজ্যে প্রথম করোনা আক্রান্তের। সেই প্রৌঢ়ের চিকিৎসার দায়িত্বে যাঁরা ছিলেন, সেই চিকিৎসক, নার্স, টেকনিশিয়ান সহ মোট ১৪ জনকে কোয়ারেন্টিন করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, ওষুধ খাওয়ার জলও পেলেন না করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি, ভয়ঙ্কর অভিযোগ বেলেঘাটা আইডিতে
উল্লেখ্য়, করোনার কোপে রাজ্য়ে প্রথম মৃত্যু হয় দমদমের এক বাসিন্দার। তিনি সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। ব্যক্তি। তাঁর ছেলে থাকেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। শ্বাসকষ্ট নিয়েই ভর্তি হয়েছিলেন হাসপাতালে। তাঁকে রাখা হয়েছিল ভেন্টিলেশনে। পরে জানা যায়, তিনি কয়েকদিন আগে সপরিবারে বিলাসপুর গিয়েছিলেন। ট্রাভেল করেছিলেন আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে। পরিবারের ধারনা সেখান থেকেই ছড়িয়েছে সংক্রমণ। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হয় এর মধ্যে তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ হয়েছিল কি না। তিনি কাজ করতেন ফেয়ার্লি প্লেসে। সেখানকার সব কর্মীদেরই ইতিমধ্য়েই কোয়ারেন্টাইনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এমনকি সংক্রমণ রুখতে পরিবারের হাতেও দেওয়া হয়নি মৃত দেহ। তাঁরাও চিকিৎসাধীন ছিলেন এম আর বাঙুর হাসপাতালে। তাই এবার প্রৌঢ়ের চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা প্রত্য়েকেই রাখা হবে কোয়ারেন্টিনে। সোমবার তাঁদের নমুনা পরীক্ষার চূড়ান্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনেই থাকবেন তাঁরা।
আরও পড়ুন, বাংলার করোনায় দিল্লির গাফিলতি,তেহট্টের আক্রান্ত নিয়ে তথ্য় দেয়নি কেন্দ্র
অপরদিকে লকডাউনেও ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে বটে, কিন্তু, দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যাটা ক্রমেই উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে। দেশে এখনও পর্যন্ত মোট ৮৭৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। তবে ভাবনার বিষয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৪৯ জন। শনিবার নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯ জন। ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের। তবে সুস্থও হয়ে উঠেছেন ৭৯ জন।
আরও পড়ুন, শনিবার সকাল থেকেই কলকাতা সহ জেলায় জেলায় চালু বাস পরিষেবা, জানুন বিস্তারিত