পুজোর আগেই চাকরি দিতে হবে আরও ৫৪ জনকে, রায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও ৫৪ জনের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এই ৫৪ জন। প্রশ্নে ভুল থাকায় আরও বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

পুজোর আগেই চাকরি দিতে হবে আরও ৫৪ জনকে। প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রশ্নে ভুল থাকায় বাড়তি নম্বর পেয়ে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তালিকায় নাম উঠে এসেছে এই ৫৪ জনের। বিচারপতির নির্দেশ আগামী ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যেই এই ৫৪ জন উত্তীর্ণকে চাকরি দিতে হবে। 
মঙ্গলবার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আরও ৫৪ জনের নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন এই ৫৪ জন। প্রশ্নে ভুল থাকায় আরও বাড়তি নম্বর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই অনুযায়ী নম্বর বাড়ে অনেক পরীক্ষার্থীর। কিন্তু সেই অনুযায়ী তাঁদের কেন নিয়োগ হল না সেই প্রশ্ন নিয়ে মামলা করেন বনলতা সমাদ্দার-সহ ৫৪ জন। 


এর আগে সোমবার ২৩ জন উত্তীর্ণকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। সেক্ষেত্রেও শূন্যপদ না থাকলে প্রয়োজনে শূন্যপদ তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আজ ফের এই ৫৪ জনের ক্ষেত্রেও একই কথা বললেন বিচারপতি। প্রয়োজনে ভবিষ্যতের শূন্যপদ থেকে এই ৫৪ জনকে চাকরি দিতে হবে বলেও জানান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এই নিয়ে মোট ৭৭ জনকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত। 

Latest Videos


মামলাকারীদের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য ও সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেছেন, “সেই সময়ের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, এই নিয়োগে প্রশিক্ষিতদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। আর মামলাকারীরা সবাই প্রশিক্ষিত চাকরিপ্রার্থী। তখন প্রশিক্ষিত নন, এমন অনেককে চাকরি দেওয়া হয়েছে। ওই বাড়তি নম্বর পেলে ওঁরা উত্তীর্ণ হবে। স্বাভাবিকভাবেই ওঁরাও চাকরি পাওয়ার যোগ্য।”

প্রসঙ্গত,২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাশ ট্রেন্ড নট ইনক্লুডেড ক্যান্ডিডেটস একতা মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে এবং তাঁদের যাবতীয় দাবিদাওয়ার কথা তুলে ধরেছিলেন। 

আরও পড়ুন'ঘুষ নিয়ে হচ্ছে চাকরি, আমাদের কাজ কই', পুজোর আগে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে আওয়াজ উত্তীর্ণ নার্সদের

তাঁদের দাবি ছিল, ২০২০ সালের ১১ নভেম্বর নবান্নে একটি প্রেস কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ২০১৪ সালের প্রাইমারি টেট পাস ট্রেন্ড কুড়ি হাজার চাকরিপ্রার্থী থেকে সাড়ে ১৬ হাজার চাকরি প্রার্থীকে খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগ করা হবে এবং বাকি প্রার্থীদেরও ধাপে ধাপে খুব শীঘ্রই নিয়োগ করা হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেও পর্ষদের পক্ষ থেকে মাত্র ১৩ হাজার প্রার্থীকে নিয়োগ করা হয় এবং বাকি প্রার্থীদের  নট ইনক্লুডেড ইন দ্যা প্রেজেন্ট মেরিট লিস্ট করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীরা প্রশ্ন তুলছেন মুখ্যমন্ত্রীর নিশ্চিতকরনের পরেও কেন সকল প্রার্থীদের ইনক্লুড করা হল না? সকল প্রার্থীকে ইনক্লুড করা হবে, মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরও কেন ৭ হাজার প্রার্থী বঞ্চিত হল? 

আরও পড়ুন - মঙ্গলবারও বদল নেই শহরের জলচিত্রে, জলমগ্ন বেঙ্গালুরুর একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা 

Share this article
click me!

Latest Videos

প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
'যেসব মুসলমানরা হিন্দুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন তাঁদেরই পূর্বপুরুষেরা হিন্দু ছিল' বিস্ফোরক অর্জুন
West Bengal-এ জঙ্গিযোগ নিয়ে Mamata Banerjee-কে চরম তুলোধোনা Agnimitra Paul-এর! দেখুন কী বললেন
'তৃণমূলের দুয়ারে সরকার এখন দুয়ারে জঙ্গি', তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর | Suvendu Adhikari
চমকে উঠবেন! কৃষ্ণনগর পক্সো আদালতের বড় সাজা ঘোষণা | Nadia Latest News