উপনির্বাচন নিয়ে আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পার্থ। আর সেখানেই স্বাভাবিকভাবেই ওঠে এসএসসি দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গ। তবে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও তীক্ষ্ণ মন্তব্য তিনি করেননি। বরং তিনি বলেন, "বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলব না। আইন আইনের পথে চলবে।"
এসএসসি দুর্নীতি মামলার পারদ ক্রমশ চড়তে শুরু করেছিল। সোমবারই সামনে এসেছিল অনুসন্ধান কমিটির রিপোর্ট। আর তা আসার পরই একটু একটু করে চাপ বাড়ছিল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় গ্রুপ-ডি নিয়োগের ক্ষেত্রে চরম দুর্নীতি হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিল অনুসন্ধান কমিটি। আর সেই রিপোর্ট আসার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সিবিআই দফতরে পার্থকে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও আদালতের নির্দেশের সঙ্গে সঙ্গে সিবিআই দফতরে ছুটতে হয়নি তাঁকে। বরং সেই নির্দেশের উপর বুধবার সকাল পর্যন্ত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। তাতে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী। তবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এনিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি তিনি। বরং আইনের উপর ভরসা রয়েছে বলে জানিয়েছেন।
উপনির্বাচন নিয়ে আজ বিকেলে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন পার্থ। আর সেখানেই স্বাভাবিকভাবেই ওঠে এসএসসি দুর্নীতি মামলার প্রসঙ্গ। তবে এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনও তীক্ষ্ণ মন্তব্য তিনি করেননি। বরং তিনি বলেন, "বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে কিছু বলব না। আইন আইনের পথে চলবে।"
পার্থ চট্টোপাধ্যায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন এসএসসি-র গ্রুপ ডি পর্যায়ে নবম এবং দশম শ্রেণির নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ। আর পরিস্থিতির মধ্যেই একেবারে আগুনে ঘি ঢেলে দেন দলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। দুর্নীতির জন্য বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু নয়, বরং তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকেই দায়ি করেছিলেন তিনি।
তার মধ্যে আবার সোমবার গ্রুপ-D নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বাধীন অনুসন্ধান কমিটি। সূত্রের খবর, রিপোর্টে দাবি করা হয়, তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমতিতে যুগ্মসচিব যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছিল তা বেআইনি। তারপরই পার্থকে সিবিআই দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অবশ্য সিবিআই হাজিরার নির্দেশ পেয়েও কুণালের বিরুদ্ধে কোনও মন্তব্য করেননি পার্থ। বরং এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে, "দলের ভিতরেই সব বিতর্ক নিয়ে আলোচনা হবে। বাইরে নয়।"
আরও পড়ুন- পার্থর সঙ্গে বিকেলে উডবার্ণে দেখা হওয়ার সুযোগ মিস, 'কনে দেখা আলোয়' একাই এসএসকেম-এ কেষ্ট
মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিকেল ৫টার সিবিআই দফতর অর্থাৎ নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে হবে। পাশপাশি হাইকোর্টের তরফে এও জানানো হয় যে, হাজিরার আগে কোনওভাবে এসএসকেমের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে পারবেন না। প্রয়োজন মনে করলে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতারও করতে পারে। এরপরই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তাতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর আপাতত স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাজিরায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ।