একুশের বিধানসভা নির্বাচনে অভূতপূর্ব জয় পেয়েছে তৃণমূল। আর তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথগ্রহণের পর দলের প্রথম সাংগঠনিক বৈঠকে বসতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার তৃণমূল ভবনে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। সেই বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। সাংসদ, বিধায়ক, মন্ত্রী ও পুরসভার চেয়ারম্যান তথা পুর প্রশাসকদের এই বৈঠকে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বৈঠকে যোগ দিতে পারেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। দলের সংগঠনকে মজবুত করতে 'এক ব্যক্তি এক পদ' ফর্মুলায় হাঁটতে পারে তৃণমূল। জেলা স্তরে সাংগঠনিক দায়িত্বেও কিছু রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে অশালীন ভিডিও পোস্ট, অভিযোগ দায়ের লালবাজারে
সূত্রের খবর, দলের মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বাড়াতে পারেন মমতা। কারণ, একুশের নির্বাচনে বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার তাঁকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বারবার তাঁদের বক্তৃতায় ফিরে এসেছিল 'ভাইপো'-র প্রসঙ্গ। কয়লাপাচার কাণ্ড থেকে শুরু গরুপাচার কাণ্ড, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। তাই এবারের নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে অভিষেকের অবদান রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল বদলের হিড়িক পড়েছিল রাজ্যে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন অনেকেই। কিন্তু, তৃণমূলের জয়ের পর এখন পুরোনো দলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন অনেকেই। এমনকী, দল বদলের জন্য নেত্রীর কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। সূত্রের খবর, তাঁদের নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি ভাবছেন তার একটা আভাস মিলবে এই বৈঠকে। পাশাপাশি বিধানসভার উপনির্বাচনের প্রার্থীদের নামও এই বৈঠকে ঘোষণা করতে পারেন মমতা। এছাড়া এই বৈঠকে পুর প্রশাসকদের ডাকা অত্যন্ত তাৎপর্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ বাকি রয়েছে পুরসভার নির্বাচন। অনেকের মতে, তার জন্য এখন থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিতে চাইছেন মমতা। আগামীদিনের রণনীতি কী হবে সেই নিয়েও দলের কর্মীদের বার্তা দিতে পারেন তিনি। তবে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে তা নিয়ে এখন জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে।