মহম্মদ আলি পার্কের প্রাণকেন্দ্রে মণ্ডপ তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। যে জায়গায় এই মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে সেই জায়গায় যদি অতিরিক্ত দর্শনার্থী দের ভিড় হলেই একটা বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
পয়লা সেপ্টেম্বর থেকেই পুজোর ঢাঁকে কাঠি পড়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী সেই ইউনেস্কো সম্মান অনুষ্ঠান হবে। কিন্তু তার আগে অগাস্ট মাসের শেষ সপ্তাহেও কলকাতার বড় পুজোগুলির অন্যতম মহম্মদ আলি পার্কের পুজো নিয়ে রয়েছে অনিশ্চয়তা। বলা যেতে পারে, আপাতত সমাধান সূত্র বেরোল না মোহাম্মেদ আলী পার্কের পুজোর। মঙ্গলবার জল সরবরাহ বিভাগের ডেপুটি ইঞ্জিনিয়ার অমিতাভ পালের নেতৃত্বে কলকাতা পৌর সংস্থার আধিকারিকদের একটি দল মহম্মদ আলি পার্ক পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শনের পরই পুজো উদ্যোক্তাদের বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানালেন মহম্মদ আলি পার্কের জয়েন্ট সেক্রেটারি অশোক ওঝা। তিনি বলেন যে কলকাতা পৌর সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের একটি বিকল্প প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সেই প্রস্তাব নিয়ে আয়োজকদের মধ্যে আলোচনা ও পর্যালোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্তের কথা পুজো উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে কলকাতা পৌর সংস্থার কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। পুজো উদ্যোক্তারা কলকাতা পুরসভার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে বলেও জানিয়েছেন। মহম্মদ আলি
অন্যদিকে স্থানীয় কাউন্সিলর রেহানা খাতুন জানান যে মহম্মদ আলি পার্কের পুজো পার্কের মধ্যেই হবে। তবে বিকল্প চিন্তা ভাবনা করেই কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। উল্লেখ্য যে মহম্মদ আলি পার্কের তলায় একটা বড় জলাধার রয়েছে। যেখান থেকে প্রায় ৩ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল সরবরাহ করা হয়। শুধু তাই নয় দীর্ঘদিনের এই জলাধারের উপরে মাটি না পড়ায় জমির অবস্থা খুব একটা ভালো নেই বলে মনে করছে কলকাতা পৌর সংস্থা। তাই তারা আগেই পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করেছে। পাশাপাশি , যদি কোনো রকমের দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় মহম্মদ আলি পার্কের পুজো উদ্যোক্তাদের নিতে হবে বলে চিঠিতে পরিষ্কার উল্লেখ করেছেন তারা।
এরই মধ্যে মহম্মদ আলি পার্কের প্রাণকেন্দ্রে মণ্ডপ তৈরির কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিল। যে জায়গায় এই মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে সেই জায়গায় যদি অতিরিক্ত দর্শনার্থী দের ভিড় হলেই একটা বড় বিপদ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ এই এলাকা থেকে মণ্ডল সপিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মণ্ডল না সরালে পুজোয় সবুজ সংকেত দেওয়া হবে না। পুরসভার পক্ষ থেকে একটা বিকল্প জায়গার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে পুজো উদ্যোক্তাদের।
পুরোনো মন্ডপ যার মাপ প্রায় ৫০ ফুট ছিল। সেটা আরও এগিয়ে নিয়ে এসে রাস্তার সামনে একেবারে লোহার গ্রিলের সামনে নিয়ে আসার প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থার। মাত্র ১৫ থেকে ২০ ফুটের মধ্যে এই মহম্মদ আলি পার্কের পুজো মন্ডপ সীমিত রাখার বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছে কলকাতা পৌর সংস্থা কর্তৃপক্ষ। তবে প্রশ্ন উঠছে যে , বিকল্প জায়গার প্রস্তাবের ফলে এই পুজোর গরিমা নষ্ট হতে পারে বা যে উৎসাহ এবং উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লাখো লাখো মানুষের ভিড়ের উচ্ছাস নেমে আসে । সেটা যদি এই ছোট জায়গায় সমিতি হয়ে যায়। তাহলে সেই ভিড় সামাল দেওয়ার মত ক্ষমতা থাকবে তো পুজো উদ্যোক্তা দের। সেই প্রশ্নই এখন ঘুরা ফিরা করছে সাধারণ মানুষের মনে।
Puja Vacation: পুজোর ছুটি ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, দেখে নিন ছুটির তালিকা
অনুব্রতর মেয়ের নামে আরও সম্পত্তির সন্ধান, বোলপুরে জমি রেজিস্ট্রি অফিসে অনুসন্ধানে CBI
Durga Puja 2022: পুজো কমিটির বৈঠকে বড় ঘোষণা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের, নাম না করে নিশানা বিজেপিকে