ফের বেআইনি অর্থলগ্নির সংস্থার প্রতারণা ঘটনা খাস কলকাতার বুকে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল ওই সংস্থা বলে অভিযোগ। শেষ অবধি ভিনরাজ্য থেকে কলকাতায় প্রতারণার অভিযোগ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
ফের বেআইনি অর্থলগ্নির সংস্থার প্রতারণা ঘটনা খাস কলকাতার বুকে। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা চালাচ্ছিল ওই সংস্থা বলে অভিযোগ। খবর প্রকাশ্যে আসতেই অভিযান চালায় পুলিশ। শেষ অবধি ভিনরাজ্য থেকে কলকাতায় প্রতারণার অভিযোগ ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ।
বেনিয়াপুকুর, এন্টালি, কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের, ধৃত লিজা-সহ ৬
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের বুকে নির্লপ্তভাবে বেআইনি ওই সংস্থা প্রতারণা চালাচ্ছিল। এরপরেই অভিযান চালিয়ে শেষ অবধি মহারাষ্ট্র থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে সেভ দ্য বেয়ার ফুট নামে ওই সংস্থার মালকিন লিজা মুখোপাধ্যায়-সহ কলকাতার ৬ জন রয়েছেন। তাঁদের ট্রানজিট রিম্যান্ডে শহরে আনা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শহরের তিন থানায় দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। বেনিয়াপুকুর, এন্টালি, কড়েয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন প্রতারিত ব্যাক্তিরা।
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে পালানোর চেষ্টা বৃথা, বাদুড়িয়া কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে পুলিশের জালে তৃতীয় অভিযুক্ত
সারদা বা রোজভ্যালিকাণ্ডের মতোই ইংরেজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রেস্তোরা
অভিযোগ, ধৃতরা টাকা দ্বিগুন করে টাকা দ্বিগুন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে গ্রাহকদের থেকে কয়েককোটি টাকা তুলেছিল। সারদা বা রোজভ্যালিকাণ্ডের মতোই ইংরেজি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, রেস্তোরা , গিফট শপ খুলে এলাকার বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করেন লিজা এবং তাঁর সঙ্গীরা। এরপর গ্রাহকদের সুদের লোভ দেখিয়ে টাকা হরপ করে নেন তারা। টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার সময় আসতেই ব্যাপারটা বুঝতে পারে যে প্রতারিত হয়েছেন গ্রাহকরা। কারণ ততদিন সংস্থার দফতর ঝাঁপ ফেলে দিয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, 'কোন টিচারের কলার ধরতে হবে বলুন ?', যাদবপুরের তৃণমূল ছাত্রনেতার অডিও ক্লিপ ভাইরাল
শহরে প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে
প্রসঙ্গত, শহরে প্রতারণার ঘটনা বেড়েই চলেছে। ফোন করে ব্যাঙ্কের থেকে বলছে বলে এটিএম কার্ডের নাম্বার জেনে টাকা লুঠের গল্প এখন অতীত। বরং এটিএম কার্ড থেকে টাকা লুঠই হচ্ছে। কিন্তু ফোনের ওপারে বসে থাকা প্রতারক ব্যাক্তি সরাসরি ডেবিট কার্ডের সব তথ্য জানতে চাইছে না। এমনকি তাঁরা নিজেদের নাম ট্রু কলারে নির্দিষ্টি ব্যাঙ্কের নামে সেভ করছে। এদিকে আপনার কাছে ফোন আসলে আপনি ওই ব্যাঙ্কের নাম দেখতে পেলেই বিশ্বাস যোগ্যতা বাড়ছে। তারই ফাঁয়দা তুলছে প্রতারকরা।
আরও পড়ুন, যৌন সঙ্গমের পরেই কি খুন, বীরভূমের কীর্ণাহারে বিধবা মহিলার দেহ উদ্ধার
বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের
অপরদিকে টাকা দ্বিগুন হওয়ার লোভকেই হাতিয়ার বানিয়েছে এই সকল প্রতারকের দল। স্বল্প সময়ের মাঝে টাকা দ্বিগুন হয়ে যাবে, একথা শুনে মেনেও নিচ্ছেন গ্রাহকরা। তার আরও একটা কারণ এতদিন যেই সকল জায়গায় তার টাকা রেখে সুদ পেতে, সেখানে সুদের হারও কমে গিয়েছে। তাই সব মিলিয়ে গ্রাহকের মনের দুর্বলতার ফায়দা তুলে রমরমিয়ে ব্যবসা করছে প্রতারকের দল। যদিও এই ঘটনায় ভিনরাজ্য থেকে অভিযুক্ত তুলে আনা, বড় সাফল্য কলকাতা পুলিশের।