কলকাতা পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগম গুলিতে বেজে গিয়েছে ভোটের বাদ্যি। চলতি মাসের শেষেই ভোট রয়েছে চার পুরনিগমে। সেখানেও রাজ্য পুলিশ দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করার কথা ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
কলকাতা পুরভোটেও দেখা মেলেনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর(Central forces)। বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে বারংবার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি জানানো হলেও বিশেষ কোনও ফল দেখা যায়নি। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টেও(Kolkata High Court) খারিজ হয়ে গিয়েছিল বিজেপি-র(BJP) দাবি। এদিকে কলকাতা পুরভোটের পালা সাঙ্গ হতেই ইতিমধ্যেই রাজ্যের অন্যান্য পুরনিগম গুলিতে বেজে গিয়েছে ভোটের বাদ্যি। চলতি মাসের শেষেই ভোট রয়েছে চার পুরনিগমে। সেখানেও রাজ্য পুলিশ(State Police) দিয়েই নির্বাচন পরিচালনা করার কথা ভাবছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন(State Election Commission,), জানা যাচ্ছে এমনটাই। যদিও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোটের(Free and peaceful voting) লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি সরব হয়েছে রাজ্যের বিরোধীরা।
তবে আসন্ন পুরসভার ভোটে নিরাপত্তা আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই সেই ইঙ্গিতও মিলেছে। এ নিয়ে বুধবার মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে তাদের একটি বৈঠক করার কথা রয়েছে বলে খবর। তবে আপাতত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বিশেষ কোনও চিন্তাভাবনা হচ্ছে না বলেই জানা যাচ্ছে। কমিশনের তরফে জানা গিয়েছে, চার পুরভোটে মোট ১৭ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। তারমধ্যে শুধুমাত্র আসানসোলের জন্যই থাকছে সাত জন পর্যবেক্ষক। এছাড়াও থাকছেন পাঁচ জন সাধারণ এবং দু'জন বিশেষ পর্যবেক্ষক। তারই মূলত গোটা নির্বাচন পর্ব পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন।
আরও পড়ুন-বাড়ছে পুরভোটের উত্তাপ, সব্যসাচীর পোস্টার ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিধাননগরে
এদিকে আসন্ন পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীসংক্রান্ত একটি মামলা কলকাতা হাই কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে। কাটেনি জট। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়াই যে ভোটের দিকে এগোতে চাইছে কমিশন, তাই পরিষ্কার হচ্ছে ক্রমশ। সূত্রের খবর, বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ রাজ্য পুলিশের ডিজি-র সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা একটি বৈঠক করবেন। ওই বৈঠকে পুলিশ কর্তাদের কাছে জানতে চাওয়া হবে রাজ্যের বাহিনী দিয়ে ভোট করানো সম্ভব কি না। যদি পাল্লা যে আদপে রাজ্য পুলিশের দিকেই ভারী তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে আগামী ২২ জানুয়ারি আসানসোল, শিলিগুড়ি, বিধাননগর ও চন্দননগর পুরসভার ভোটগ্রহণ রয়েছে। এই চার পৌরসভার ভোট নিয়ে এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোরদার প্রস্তুতি। নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য পর্যবেক্ষকের পাশাপাশি শিলিগুড়ি ও চন্দননগরের জন্য এক জন করে বিশেষ ও দু'জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক বলে জানা যাচ্ছে। যদিও এত কিছুর পরেও ভোট কতটা শান্তিপূর্ণ হয় এখন সেটাই দেখার।