আন্দোলন স্থগিত, রাজ্য সরকারকে তিন মাস সময় দিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা

Published : Dec 12, 2019, 05:04 PM ISTUpdated : Dec 12, 2019, 05:06 PM IST
আন্দোলন স্থগিত, রাজ্য সরকারকে তিন মাস সময় দিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা

সংক্ষিপ্ত

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাটল অচলাবস্থা আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা সরকারকে তিন মাস সময় দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা সেই সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ফের আন্দোলনের হুঁশিয়ারি  

শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে পর আপাতত অনশন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। তবে তিন মাসের মধ্যে যদি দাবি পূরণ না হয়, সেক্ষেত্রে ফের আন্দোলনের নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বৈঠকে পার্শ্বশিক্ষকদের বক্তব্যে সহমত পোষণ করেছেন শিক্ষামন্ত্রী। তেমনই দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। পার্শ্বশিক্ষকরা জানিয়েছেন, তাঁদের দাবি পূরণের জন্য সময় চেয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। তাই আপাতত অনশন আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন: দেশে বসে বিদেশে প্রতারণা, কল সেন্টারে হানা দিয়ে মিলল খোঁজ

প্রথমে ধরনা, শেষপর্যন্ত বেতন কাঠামো-সহ চারদফা দাবিতে অনশন বসেন রাজ্যের কয়েক হাজার পার্শ্বশিক্ষক। অনশন চলছিল সল্টেলেক সেন্টাল পার্কের খেলার মাঠে।  কিন্তু রাজ্য সরকারের তরফে কোনও ইতিবাচক বার্তা আসেনি। বরং দীর্ঘদিন ধরে কেন তাঁরা স্কুলের অনুপস্থিত, তা জানতে চেয়ে আন্দোলনরত পার্শ্বশিক্ষকদের শোকজের চিঠি পাঠায় শিক্ষা দপ্তর। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় কড়া বার্তা দেন যে, পার্শ্বশিক্ষকদের আন্দোলনের কারণে ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার ক্ষতি হবে, তা কখনই বরদাস্থ করা হবে না। শোকজের চিঠি পাওয়ার পরেই সুর নরম করেন আন্দোলনকারীরা। গত শনিবার আলোচনায় বসতে চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান তাঁরা। আলোচনার প্রস্তাবে সাড়া দেন শিক্ষামন্ত্রীও। বুধবার সল্টেলেক বিকাশভবনে পার্শ্বশিক্ষক ঐক্যমঞ্চ-সহ পার্শ্বশিক্ষকদের আরও বেশ কয়েকটি সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকের পরেই কিন্তু আন্দোলনের ভবিষ্যত নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেননি আন্দোলনকারীরা। বরং নিজেদের আলোচনার জন্য সময় চেয়ে নেন তাঁরা।  বৃহস্পতিবার তিনমাসের জন্য অনশন আন্দোলন স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করলেন পার্শ্বশিক্ষকরা। 

উল্লেখ্য, সল্টলেকে অনশন চালকালীন পশ্চিম মেদিনীপুরে এক পার্শ্বশিক্ষককে মৃত্যুর ঘটনায় বিস্তর জলঘোলা হয়। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, যিনি মারা গিয়েছেন, তিনিও অনশনে সামিল হয়েছিলেন। অনশনজনিত অসুস্থতার কারণে মারা গিয়েছেন ওই পার্শ্বশিক্ষক। মৃতার পরিবারের লোকেরা অবশ্য সেই দাবি খারিজ করে দেন। কিন্তু এই ঘটনার পর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন পাশ্বশিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে সোচ্চার হন রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় ও বাবুল সুপ্রিয়। লোকসভায় রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তাঁরা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

বিধানসভায় প্রবেশ ইস্যুতে উত্তপ্ত শুভেন্দু বনাম রাজ্যের সঙ্ঘাত, মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে
News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে