সাড়ে ৫০০ ছাত্রের জন্য় ৮ জন শিক্ষক, হেয়ার স্কুলে পথ অবরোধ অভিভাবকদের

  • সাড়ে ৫০০ ছাত্রের জন্য় ৮ জন শিক্ষক
  • হেয়ার স্কুলে পথ অবরোধ অভিভাবকদের
  • হেয়ার স্কুলের অবস্থায় হতবাক শিক্ষাবিদরা

debojyoti AN | Published : Aug 28, 2019 8:52 AM IST / Updated: Aug 28 2019, 02:26 PM IST

বার বার বলেও লাভ হয়নি। বাধ্য় হয়ে সন্তানদের শিক্ষার জন্য রাস্তা অবরোধ করলেন অভিভাবকরা। কলকাতার ঐতিহ্য়বাহী হেয়ার স্কুলের এই অবস্থায় হতবাক শিক্ষাবিদরা।

১৭ জুলাইয়ের পর ফের ২৮ অগাস্ট। হেয়ার স্কুলের সামনে ফের অবরোধ অভিভাবকদের। ১ মাসের মধ্যে দাবি মেটানোর আশ্বাস ছিল। তা পূরণ হয়নি। তাই ফের অবরোধ। একেবারে বিক্ষোভকারীদের মতো ব্য়ানার হাতে রাস্তায় নামতে হল অভিভাবকদের। শতাব্দীপ্রাচীন হেয়ার স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে স্লোগান দিলেন খোদ অভিভাবকরা। অবশেষে রাস্তা অবরোধ সরাতে হস্তক্ষেপ করতে হল পুলিশকে। শেষে শিক্ষা পর্ষদের আশ্বাসে উঠে গেল পথ অবরোধ। প্রশ্ন জাগে, হেয়ার স্কুলের মতো প্রতিষ্ঠান নিয়ে কেন রাস্তায় নামতে হল অভিভাবকদের?   

আরও পড়ুন :সাড়ে ৫০০ ছাত্রের জন্য় ৮ জন শিক্ষক, হেয়ার স্কুলে পথ অবরোধ অভিভাবকদের

আরও পড়ুন :র‌্যাগিং রুখতে দীক্ষা দাওয়াই, শিক্ষাক্ষেত্রে আরও পরিবর্তন

বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের অভিযোগ,হেয়ার স্কুলে ছাত্রের সংখ্যা সাড়ে পাঁচশো । শিক্ষক সংখ্যা মাত্র ৮। গত মাসে ১ জন শিক্ষক চলে গেছেন। এ মাসে চলে যাবেন টিচার ইনচার্জ তনুশ্রী নাগ। ভবিষ্যতে শিক্ষকের সংখ্যা কমে দাঁড়াবে ৭। অথচ ছাত্র শিক্ষক সংখ্যার অনুপাতে এই সংখ্য়াটা থাকার কথা ১১ । সেকারণে ক্লাস প্রায় হয় না বললেই চলে। আগে ২ টো পিরিয়ড হয়ে স্কুল ছুটি হয়ে যেত। এখন মেরেকেটে ১ টা ক্লাস হয় । তাই ফের অবরোধে নামতে হয়েছে তাঁদের।

আরও পড়ুন :খুনের হুমকি, দিলীপের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা পুলিশের

আরও পড়ুন :রামসেতু আমাদের পৃথিবীশ্রেষ্ঠ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উদাহরণ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য়ে বিতর্ক
অভিভাবকদের দাবি,গত ২৩ জুলাই সমস্যার কথা বলা হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীকে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় কথা দিয়েছিলেন, অন্য জায়গা থেকে শিক্ষক এনে এখানে ঘাটতি পূরণ হবে। কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটা হয়েছে। অগাস্টে অবসর নিয়েছেন এক শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তনুশ্রী নাগ পয়লা সেপ্টেম্বর অবসর নেবেন। এরপরই ফের রাস্তা অবরোধে নামতে বাধ্য হন তাঁরা। যদিও শেষমেশ অভিভাবকদের সঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান কার্তিক মান্না কথা বলতেই উঠে যায় অবেরাধ। চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন,অবিলম্বে ৫ জন অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ করা হবে স্কুলে। অবসরপ্রাপ্ত স্কুলের শিক্ষকদের দিয়েই ছাত্রদের পড়ানো হবে। পরে কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে উঠে যায় অবরোধ।
 

Share this article
click me!