পেট্রোল-ডিজেলের দামে সেঞ্চুরি হাঁকাতে চলেছে এবার কলকাতাও। উল্লেখ্য, দেশের একাধিক শহরে আগেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম একশো পার করে গিয়েছে।পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি। কার্যত লকডাউনের মাঝে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে নাভিশ্বাস উঠেছে শহরবাসীর।
আরও পড়ুন, BJP-র দলীয় কার্যালয়ের পিছনের পুকুর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার, তদন্তে কাশিপুর থানার পুলিশ
নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার জানিয়েছেন, পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। কেন্দ্রকে ভারসাম্য রক্ষা করে চলতে হয়। কেন্দ্রের দায়িত্ব মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করা। তাই রোজ দফায় দফায় পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছে। প্রত্যেকদিনই ২৫ থেকে ২৭-২৮ পয়সা বাড়ছে। এদিন দেশে সেঞ্চুরি হাঁকাতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দেশের একাধিক শহরে পেট্রোল লিটার প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা দরে। ৭ জুন সকালে বাজার খুলতে অয়েল মার্কেটিং কোম্পানিস জানিয়েছে, দেশ জুড়ে পেট্রোল-ডিজেলে ২৭ থেকে ২৮ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে টানা ২১ দিন ধরে বাড়ল পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দেশের একাধিক শহরে আগেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম একশো পার করে গিয়েছে। মুম্বাইতে পেট্রোলের দাম ১০১.৮৭ টাকা। ডিজেলের দাম ৯৩.৬৪ টাকা। ডিজেলের দাম বৃদ্ধি আরও বেশি করে প্রভাব ফেলেছে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসে। কারণ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডিজেলেই চলে অধিকাংশ লরি। কলকাতায় নতুন করে পেট্রোলের দাম বেড়ে এখন লিটার প্রতি ৯৫ টাকা ৩৪ পয়সা। ডিজেলের দাম ৮৯ টাকা ১২ পয়সা।
আরও পড়ুন, কী ধরণের গুলি চলেছিল, আজ শীতলকুচিতে সিআইডি-র ফরেন্সিক ব্যালেন্সিক টিম
প্রসঙ্গত, দেশের পাঁচ রাজ্যে একুশের নির্বাচনের প্রক্রিয়া চলাকালীন আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়। তবে, সেই সময় দেশের বাজারে পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়েনি। এরপর ২ মে বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশিত হওয়ার পরই দাম সংশোধিত হতে শুরু করে। তবে করোনা পরিস্থিতির প্রভাব পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। লকডাউনের জেরে কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বছর দেশে করোনা থাবা বসানোর পরই গৃহস্থের আয় ৯৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। তার উপর পেট্রোল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তাই জামাইষষ্ঠীর প্রাক্কালে টান পড়তে পারে মধ্যবিত্তের পকেটে।