নবান্নের এই সিদ্ধান্তে বেশ বিরক্ত অনেক যাত্রীই। তাঁদের দাবি লকডাউনের রাস্তায় হাঁটলে করোনা সংক্রমণ কমবে হয়ত।
বাদুড়ঝোলা ভিড় না হলেও, সকাল থেকে ট্রেনে একই ছবি দেখা গেল। মোটামুটি ভিড় নিয়েই স্টেশন থেকে ছাড়ল একের পর এক লোকাল ট্রেন। বজবজ স্টেশনে দেখা গেল রোজের মতই ছবি। বজবজ লোকালেও সেরকমই ভিড়। তৃতীয় ঢেউ (3rd Wave) আসতেই ফের রাজ্য সরকার (West Bengal Govt) করোনা (Corona) নিয়ে একাধিক বিধিনিষেধ (Covid Rules) জারি করেছে। লকডাউন (Lockdown) নিয়ে জল্পনা বাড়ছিল ক্রমশ। এমনকী ডিসেম্বরের শেষার্ধ থেকে করোনা উদ্বেগ বাড়তে থাকায় বড়দিন ও বর্ষবরণে (Christmas and New Year) লকডাউনের ঘোষণার কথা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু বাস্তব ক্ষেত্রে তা হয়নি।
এদিকে গত চার দিনে কলকাতার করোনা গ্রাফ (Kolkata Corona Graph) বেড়েছে চার গুণ। এমতাবস্থায় এবার জল্পনা সত্যি করেই আংশিক লকডাউনের (Partial lockdown) পথে পা বাড়ল রাজ্য সরকার (State Government)। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত রাজ্যব্যাপী জারি হয়ে গিয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। বলা হয়েছে ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে ছাড়বে লোকাল ট্রেন। সন্ধে সাতটার পরে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে নবান্নের এই সিদ্ধান্তে বেশ বিরক্ত অনেক যাত্রীই। তাঁদের দাবি লকডাউনের রাস্তায় হাঁটলে করোনা সংক্রমণ কমবে হয়ত। কিন্তু মানুষ পেটের ভাত যোগাবেন কী করে। না খেতে পেয়েই মানুষ মারা যাবেন। নবান্নের নয়া নির্দেশিকায় স্পষ্টতই বলা হয়েছে, সন্ধ্যে ৭টার পর বন্ধ সমস্ত লাইনেই বন্ধ থাকবে লোকাল ট্রেন। তবে বাকি যে সময় লোকাল চলবে তাতে ৫০ শতাংশের বেশি যাত্রী উঠতে পারবেন না। যদিও স্বাভাবিক নিয়মেই চলবে দূরপাল্লার ট্রেন।
বজবজ শিয়ালদহ শাখার চিত্রে একই রয়েছে চেনা ছন্দ। কার্যত বাদুড় ঝোলা ভিড়ে ঠাসা বজবজ লোকালে কোভিড বিধি মেনে চলার সেই তৎপরতা চোখে পড়েনি। নবান্নের নির্দেশিকার পর প্রথম দিনেও একই ছন্দে বজবজ শিয়ালদহ শাখার লোকাল ট্রেন। রাজ্যে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার ফলে আবার ট্রেন চলাচলের উপর বিধিনিষেধ জারি হয়েছে। সোমবার সন্ধে ৭টার পর থেকে আর কোনও লোকাল ট্রেন চালানো যাবে না বলে জানানো হয়েছে। তবে সকালের দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও সেখানে ইচ্ছে মতো চাপা যাবে না। করোনা বিধি মেনে লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ যাত্রী সফর করতে পারবেন।
লোকাল ট্রেনের প্রতিটি বগিতে যতগুলি আসন থাকে তার অর্ধেক যাত্রী উঠতে পারবেন। পাশাপাশি সব আসনে বসে সফর করতে পারবেন না যাত্রীরা। একটি করে আসন ছেড়ে বসতে হবে ট্রেনে। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, কোনও প্রান্তিক স্টেশন থেকেই সন্ধে ৭টার পরে আর কোনও লোকাল ট্রেন ছাড়বে না।