করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবেলায় কঠোর পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র। কেরালায় চিকিৎসাধীন দ্বিতীয় ব্যক্তির শরীরেও ভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া মাত্রই করোনার উপসর্গ না থাকলেও কলকাতায় আসা তাঁর সহযাত্রীদের হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দিল দিল্লি।
আরও পড়ুন, সোমবার রাত থেকেই শহরে আবহাওয়ার পরিবর্তন, চলতি সপ্তাহে ফের বৃষ্টির পূর্বাভাস
রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, এই নির্দেশ পেতেই এ পর্যন্ত যোগাযোগ করতে পারা দুই ব্যক্তিকে আইডি হাসপাতালে ভর্তি হতে বলা হয়েছে। তাঁরা কলকাতার গাঙ্গুলিবাগান এবং উত্তর চব্বিশ পরগনার নৈহাটির বাসিন্দা। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, তাদের তরফে এখনও পর্যন্ত যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত ব্য়ক্তির সেই সহযাত্রীদের আইডিতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হতে বলা হয়েছে। এবং তাদের পরিজনদের উপরও নজর রাখা হবে। সূত্রের খবর, কেরালার দুই আক্রান্তের সঙ্গে বিমানে যাঁরা সহযাত্রী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে আটজন কলকাতায় এসেছেন। এই খবর গত শুক্রবার রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানিয়েছিল দিল্লি। তারপর কেন্দ্র হতেই কলকাতায় থাকা তাঁর ছয় সহযাত্রীদের উপসর্গ না-থাকলেও অবিলম্বে হাসপাতালে ভর্তি করার নির্দেশ দেয় রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরকে।
আরও পড়ুন, করোনা মোকাবিলায় পদক্ষেপ, বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু মেডিক্যাল কলেজে
সূত্রের খবর, ওই যাত্রীদের পাসপোর্টের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছিল রাজ্যকে। রবিবার পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, তাঁদের মধ্যে তিনজন ইতিমধ্যেই চিনে ফিরে গিয়েছেন। একজন রয়েছেন দিল্লিতে। বাকি চারজনের মধ্যে দু জনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কোনও উপসর্গ না-থাকায় তাঁদের বাড়িতেই আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছিল। তাঁদের মধ্য়ে একজন গত শনিবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে সোয়াবের নমুনাও দিয়ে গিয়েছেন । বাকি দু জনের বাড়ি দার্জিলিং এবং পূর্ব মেদিনীপুর। মোবাইল বন্ধ থাকায় যাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কিন্তু কেন্দ্রের তরফে রাজ্য় প্রশাসনকে তাঁদের পাসপোর্টে দেওয়া ঠিকানায় খোঁজ করতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই বিমানের কর্মীদের মধ্যে রাজ্যের বাসিন্দা ১০ জন। তাদের উপরও নজর রাখা হচ্ছে।