প্রাণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না দলের কর্মীরা, বিশেষ বৈঠকে বঙ্গ বিজেপি

  • প্রাণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না বিজেপি কর্মীরা
  •  প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাঁদের
  • অভিযোগ রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের
  • পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিশেষ বৈঠকে বিজেপি 

debojyoti AN | Published : May 7, 2021 11:30 AM IST

প্রাণের ভয়ে বাড়ি ফিরতে পারছেন না রাজ্য বিজেপির অনেক কর্মী সমর্থক। তাঁদের বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ভয় দেখানো হচ্ছে, প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বঙ্গ বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষের। রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার তাই বিশেষ বৈঠকে বসেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 

শুক্রবার কলকাতায় রাজ্য বিজেপির সদর দফতরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে বৈঠক শুরু হয়। রাজ্যে ভোটের ফলাফল পরবর্তী হিংসা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে মিলিত হন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, সব্যসাচী দত্ত, জয়প্রকাশ মজুমদার, শমীক ভট্টাচার্য, মাহফুজা খাতুন সহ বেশ কয়েক জন নেতা ও নেত্রী। 

এদিন বৈঠক শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে কার্যত আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন বিজেপির কর্মী সমর্থকদের খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের তরফে সমানে প্রাণনাশের হুমকি মিলছে। ভোট পরবর্তী হিংসা ক্রমশ বাড়ছে রাজ্য জুড়ে। এই পরিস্থিতি একেবারেই কাম্য নয়। 

দিলীপ ঘোষ বলেন দলের এমন বহু কর্মী রয়েছেন যাঁরা রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন প্রাণের ভয়ে। তাঁদের কোনও খবর পাচ্ছে না দল। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে দলের নেতারা বিভিন্ন জেলায় যাবেন। ক্ষয়ক্ষতির হিসেব নেওয়া হবে। কোন কোন কর্মী নিখোঁজ, তা তালিকা তৈরি হবে। সরকার দায়িত্ব নিচ্ছে না কেন কোনও মানুষের, এই প্রশ্ন তোলেন দিলীপ ঘোষ। 

অন্যদিকে, ক্ষমতায় এসে শপথ নিয়েই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন ছিল রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল যেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখে। নির্বাচন পূর্বে ও নির্বাচন চলাকালীন অনেক অত্যাচার হয়েছে। সেসব বন্ধ করতে হবে। নয়তো আইন আইনের পথে চলবে। মমতা বলেন, বাংলা শান্তিপ্রিয় জায়গা, সংহতি,সম্প্রীতি ও সংস্কৃতির জায়গা। সর্ব ধর্ম বর্ণের মানুষ যেন এখানে শান্তিতে থাকতে পারেন, সেই ব্যবস্থা করতে হবে। তারজন্য প্রত্যেককে উদ্যোগী হতে হবে।

কিন্তু বিজেপি নেতাদের অভিযোগ রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি ঘটছে। কিন্তু রাজ্য সরকার দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছে।  

Share this article
click me!