এক এক করে বাধা পড়ছে যানবাহনে। লরির পর আজ থেকে টালা ব্রিজে বন্ধ বাস চলাচল। ওজন কমাতে ব্রিজের ফুটপাথ থেকে খুলে ফেলা হয়েছে টালি। এমনকী ব্রিজ হালকা করতে ফুটপাথের প্রলেপও তুলে ফেলা হয়েছে।
রবিবারের সকালের দোসর ভারী বৃষ্টি, যার জেরে শুনসা়ন টালা ব্রিজ। ব্রিজের ওপর থেকে বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় একেবারে ধর্মঘটের চেহারা নিয়েছে ব্রিজ চত্বর। সকাল থেকে সেখানে গোটা কয়েক ট্য়ক্সি ছাড়া কিছু চোখে পড়ছে না। পুজোর মরশুমে উত্তর কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত সেতুকে এই হালে দেখে হতবাক পড়শিরা। আশপাশের বাড়ির অনেকেই বলছেন,বৃষ্টি না হলে আজ ব্রিজ জুড়ে চুটিয়ে খেলা যেত।
গতকালই পরিবহণ দফতরের তরফ টালা ব্রিজ নিয়ে নোটিশ জারি হয়। নোটিশে রবিবার থেকে টালা ব্রিজে বাস চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। প্রায়৫০ টি রুটের বাস ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে অন্য রাস্তা দিয়ে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডানলপ থেকে শ্য়ামবাজার মুখী বাস চিড়িয়ামোড়, সেভেন ট্যাঙ্কস, নর্দান অ্যাভিনিউ,বেলগাছিয়া হয়ে শ্যামবাজারে উঠছে। ওদিকে নাগেরবাজার হয়ে ধর্মতলা রুটের বাসগুলিকেও নর্দান অ্যাভিনিউ থেকে বেলগাছিয়া হয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা ধরানো হচ্ছে। ফলে রাতারাতি নতুন রুটের সঙ্গে অভ্যস্ত হতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের।
টালা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় নামার পরিকল্পনা থাকলেও অন্যদিকে নামতে হচ্ছে যাত্রীদের। রাতারাতি জারি নোটিশে বিপাকে পড়ছেন যাত্রীরা। যদিও বাসে উঠতেই নতুন রুটের কথা বলে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদের। নাক ধরতে কানের পাশ দিয়ে ঘুরে আসায় অনেক ক্ষেত্রেই ক্ষোভ প্রকাশ করছেন যাত্রীরা। যদিও সুরক্ষার কথা ভেবে সরকারের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সবাই। ইতিমধ্যেই পরিবহণ দফতরের এই সিদ্ধান্তে নর্দান অ্যাভনিউতে ভিড় বাড়ার আশঙ্কা করছে এলাকার বাসিন্দারা। তবে পুজোর মধ্যে এই সিদ্ধান্তে যে নিত্যযাত্রীদের হয়রানির মুখে পড়তে হবে তা মনে নিয়েছে পরিবহণ দফতরও। ইতিমধ্যেই টালা ব্রিজের এই পরিস্থিতির জন্য় পূর্ব রেল ও মেট্রো রেলর কাছে ট্রেন বাডা়নোর কথা বলেছে রাজ্য সরকার। বর্তমানে অফিসের দিনে ৩মিনিট অন্তর চালু রয়েছে মেট্রো পরিষেবা। তবে লোকাল ট্রেনে আরও বাড়লে সুবিধা হবে নিত্য যাত্রীদের।
সূত্রের খবর, পুজোর পরেই যাত্রী সুরক্ষার কথা ভেবে টালা ব্রিজ ভাঙার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আদৌ মেরামতি করে ব্রিজের ভগ্নস্বাস্থ্য় উদ্ধার করা সম্ভব কিনা তা খতিয়ে দেখবেন ইঞ্জিনিয়াররা।