মাত্রা ছাড়াচ্ছেন সব্যসাচী। তাই এবার ব্যবস্থা নিতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নানা মহলে গুঞ্জন যে কোনও সময়ে সাসপেন্ড করা হতে পারে সব্যসাচী দত্তকে। বেশ কয়েক দিন ধরেই দলের সঙ্গে সব্যসাচীর সংঘাত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এই বিবাদ চরমে পৌঁছে গত শুক্রবার। বিদ্যুৎ ভবনে কর্মী সংগঠনের এক বিক্ষোভে নেতৃত্ব স্থানে উদয় হন। বকেয়া ডিএ আদায় ও বেতন বৃদ্ধির এই বিক্ষোভে পুরোটাই পুরোভাগে থেকে সব্যসাচী রীতিমত প্রশাসনকে হুমকি দেন। বলেন, বেতন বৃদ্ধি না হলে কী ভাবে তা বাড়াতে হয় তিনি সরকারকে বুঝিয়ে দেবেন। কর্মীদের দাবি না শোনা নিয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কেও কটাক্ষ করেন তৃণমূল বিধায়ক। কটাক্ষ করে বলেন, পদের লোভেই শ্রমিক নেতা হয়েও শ্রমিকদের আন্দোলেনে হাজির হননি বিদ্যুৎমন্ত্রী।
আরও পড়ুনঃ বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলনে সব্যসাচী, সরকারকেই হঁশিয়ারি, দেখুন ভিডিও
তৃণমূল- সব্যসাচী দ্বন্দ্ব চরমে, সরকারি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই পেলেন না বিধাননগরের মেয়র
সূত্রের খবর, বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় এই ঘটনা পুরোটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কানে তোলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনা বিস্তারে আলোচনা করেন ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে। সেখানেই নাকি সিদ্ধান্ত বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে এমনকী তাঁর মেয়র পদটিও প্রশ্নের মুখে পড়ে।
যদিও তৃণমূলের নেতা বলছেন এমন কোনও সিদ্ধান্ত দলের অন্দরে হয়নি। তবে তিনি এ কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছেন দল কোনও ক্ষেত্রেই আপোস করবে না। প্রয়োজনে চরমতম সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সব্যসাচী অবশ্য ছেড়ে কথা বলার লোক নয়। তিনি গত দিনই বলেন, 'শ্রমজীবী প্রতিনিধি হিসেবে এখানে এসেছি, তৃণমূল বিধায়ক হিসেবে আসিনি। দল চাইলে ব্যবস্থা নিতে পারে।'
উল্লেখ্য, লোকসভা নির্বাচনের আগে সব্যসাচী দত্তের সঙ্গে দেখা করেন মুকুল রায়। তখন থেকেই নানা মহলে গুঞ্জন যখন তখন পাল্টি খেতে পারেন সব্যসাচী। মুকুল রায় অবশ্য সে সময়ে বলেন, লুচি আলুর দম খেতে গিয়েছিলেন সব্যসাচীর বাড়ি। দল থেকে সে সময় আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয় সব্যসাচীর দল ছাড়ার কোনও সম্ভবনা নেই। তবে এদিনের ঘটনা থেকে পরিষ্কার, দলের সঙ্গে সব্যসাচীর দূরত্ব কয়েক যোজন।