বুধবার সংগীত শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শুভ জন্মদিন। বাংলা তথা ভরতবর্ষের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত শিল্পী, সঙ্গীত পরিচালক তথা প্রযোজকের এদিন ১০১ তম জন্মবার্ষিকী। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের শ্রদ্ধা জানিয়ে সারা শহরই এদিন মেতে উঠেছে।
আরও পড়ুন, মাস্ক মুখেই হাসি, আজই থেকেই চালু শহরের শপিংমল
প্রসঙ্গত, শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায় জন্ম বারাণসী শহরে। তবে তাঁর পৈতৃক বাড়ি ছিল দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার জয়নগরে। তার পরিবার কলকাতা শহরে আসে বিশ শতকের প্রথমার্ধে। হেমন্ত ছোট থেকে সেখানেই বড় হতে থাকে। প্রথমে নাসিরুদ্দিন স্কুল এবং তাঁরপরে ভবানীপুরের মিত্র ইন্সিটিউশনে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। এভাবেই শহরের রূপ-রস-গন্ধ সবই এসে মেশে তাঁর অনুভবে। সেখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। যিনি পরবর্তীতে বাংলার অন্যতম বিখ্যাত কবি হয়েছিলেন। তবে মায়াবী কন্ঠে যে হেমন্ত আমাদের আজও ভরিয়ে রাখেন, তার ছোটবেলাটা কিন্তু শুরু হয়েছিল গল্প লেখা দিয়েই। আজ্ঞে হ্যা, তাঁর যে সাহিত্যিক হওয়ার ইচ্ছে ছিল। বেশ কিছুদিন তিনি দেশ পত্রিকার জন্য কলম ধরেন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীনই সংগীত তাঁকে আষ্ঠে-পৃষ্ঠে জড়িয়ে ধরে। ১৯৩৭ সালে হেমন্ত পুরোপুরি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন।
আরও পড়ুন, 'বৈশাখী শোভন ব্যানার্জি', কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরু বৈশাখীর
হেমন্ত মুখোপাধ্যায় ১৯৪৭ সালে সলিল চৌধুরির কথায় এবং সুরে গাঁয়ের বধূ বলে একটি গান রেকর্ড করেন। ১৯৫১ তে মুম্বই পাড়ি। ১৯৫২ তে 'আনন্দমঠ' ছবি বিপুল সফলতা লাভ করে। তবে তার পরেও বাকি ছিল আরও অনেক ম্যাজিক। অভিনেতা দেব আনন্দের জন্যে নেপথ্য গায়ক হিসেবে তাঁর গান শচীন দেব বর্মেনর সুরে একের পর এক হিট। তারপর আর ফিরে তাঁকাতে হয়নি। তবুও তার গলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে আজও বাঙালি যে মর্মে মর্মে হারিয়ে যায়।