রাজ্যে লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণের সঙ্গে স্বাস্থ্যপরিকাঠামো নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। দেখতে দেখতে কোভিডের তৃতীয়বর্ষে এসে ঠিক কতটা বদলাল রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিকাঠামো এনিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
রাজ্যে লাগামছাড়া কোভিড সংক্রমণের (Covid-19 infections) সঙ্গে স্বাস্থ্যপরিকাঠামো নিয়েও বাড়ছে উদ্বেগ। দেখতে দেখতে কোভিডের তৃতীয়বর্ষে এসে ঠিক কতটা বদলাল রাজ্যের চিকিৎসা ব্যবস্থার পরিকাঠামো এনিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। তবে একটাই আশঙ্কা আবার ফিরবে না একুশের দৃশ্য, চাপান-উতোর রাজনৈতিক মহলে।
প্রসঙ্গত,২০২১ সালে হাসপাতালে সিট না পেয়ে হাসপাতাল চত্ত্বরে প্রাণ মারা গিয়েছে কোভিডের মুমূর্ষ রোগীরা (Covid Patients)। এমন ঘটনা আকছার ঘটেছে। এমনটি হাসপাতালে (Covid Hospital) গিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা উঠে আসতেই বুক কেঁপেছে তামাম রাজ্যবাসী। যদি ২০২০ সালের প্রেক্ষাপটে একটু তাঁকানো যায়, তাহলে খেয়াল পড়বে বাবুলের সেই বিতর্কিত ভিডিও। যা আলোড়ন ফেলেছিল সারা বাংলা তথা দেশকে। যেই ভিডিওতে আইডি হাসপাতাালে কীভাবে কোভিডের দেহ ফেলে রাখা হয়েছিল হাসপাতালের ওয়ার্ডের ভিতরেই তা প্রকাশ্যে এসেছিল। যার গন্ধে এবং আতঙ্কে বাকি রোগীরা ভয়ে কেঁপেছে। একদিকে বেডের সংখ্যা কম। যে বা যারা বেড পেলেন, তাঁরা আবার হত্যে দিয়ে বসে রয়েছেন পরিবারের আক্রান্ত ব্য়ক্তির খবর পাবার আশায়। এদিকে এমনও অভিযোগ উঠে এসেছে পরিবারকে সময় মতো জানানো হয়নি রোগীর খবর। এদিকে রোগী সোজা বেওয়ারিশ লাশের লিস্টে। তবে যারা কোভিড হাসপাতালে সিট দৈবাৎ পেয়েওছেন, তাঁদের কম যন্ত্রনা যায়নি।
এক হয়, তাঁদের সর্বস্ব খোয়া গেছে বেসরকারি কোভিড হাসপাতালের বিল মেটাতে। নতুবা প্রাণ হারানোর অনেক পরে জানতে পেরেছে পরিবার। একাধিক অরগ্যান ফেলিওরের কথা শোনানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে এসেছে। যদিও আগের থেকে অনেক কড়া এখন স্বাস্থ্যভবন। গত বছরই একাধিক হাসপাতালকে জরিমানা করেছে কমিশন। তবে সেসব বোঝা গিয়েছে, শুধু কোভিডের নিউ ভ্যারিয়েন্টকেই বোঝাটা বাকি বলে দাবি সাধারণ মানুষের। ২০২১ সালে ৫ জানুয়ারি কোভিডে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৫৯৭। এদিকে ২০২২ সালে ৫ জানুয়ারি দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ৭৩ জন। অর্থাৎ গত একবছরে ভাইরাসের চরিত্র বদলানোর সঙ্গে তফাৎটা প্রায় ৮ হাজারেরও বেশি। এরপরে তাই একটাই প্রশ্ন উঠে আসে, কতটা তৈরি প্রশাসন সামনের দিনগুলির জন্য। যদিও ইতিমধ্যেই বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কোভিড বেড বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও গত বছর এই সময়ে তুলনায় আরও সক্রিয় নির্দেশিকা পড়েছিল রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে। অক্সিজেন সিলিন্ডার বাড়ানো এবং প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু আদতে ঠিক কতটা প্রস্তুত কলকাতা সহ রাজ্যের সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালগুলি, চাপান উতোর রাজনৈতিকমহলে।