দু-তিনদিনের জন্য জল ছাড়া বন্ধ রাখতে ডিভিসি-কে চিঠি দিয়ে আবেদন রাজ্য়ের।তবে দুই বঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি যে ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণেই তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি টুইট করা হয়েছে।
দু-তিনদিনের জন্য জল ছাড়া বন্ধ রাখতে ডিভিসি-কে চিঠি দিয়ে আবেদন রাজ্য়ের।রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতির জন্য সরাসরি কেন্দ্রকে নিশানা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। তবে দুই বঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি যে ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণেই তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। টুইটে মোদীর স্বীকারোক্তির পর জল আটকে রাখার জন্য ডিভিসিকে চাপ বাড়াল রাজ্য় সরকার।
আরও পড়ুন, দুর্যোগে মমতার কপ্টার সফর বাতিল, বন্যা ইস্যুতে পাশে থাকার আশ্বাস মোদীর
সূত্রের খবর, বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের নির্দেশে ডিভিসি-কে চিঠি দিয়েছে রাজ্য সেচ দফতর। সেচ দফতরের এই চিঠিতে দু-তিনদিনের জন্য ডিভিসি-কে জল ছাড়া বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। যদিও ডিভিসি-র পাল্টা দাবি, অতিরিক্ত জল ধরে রাখা সম্ভব নয়। ধবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেশপুরের বানভাসি এলকাাগুলি পরিদর্শন করেন সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র। প্রসঙ্গত, বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হাওড়া আমতা যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বুধবার খারাপ আবহাওয়ার কারণ হেলিকপ্টার বাতিল হওয়ার পর সড়পথেই হাওড়া এবং হুগলির বানভাসি এলাকা ঘুরে দেখেন। উদয়নারায়নপুরের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েত জলে ডুবে। এদিন উদয়নারায়নপুর পরিদর্শনও করেন তিনি। ডিভিসি জলাধারের পলি পরিষ্কার করা হয় না বলে আগেই অভিযোগ তোলেন তিনি। পলি পরিষ্কার করলে তিনটি জলাধারে অতিরিক্ত দুই লাখ কিউসেক জল ধরত। তাই অতিরিক্ত জল ছাড়তে হত না বলে দাবি মুখ্যমন্ত্রীর। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর দাবি মানতে নারাজ ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পলি দীর্ঘ দিন তোলা হয়নি বলে মেনে নিয়েছে ব্যারাজের আধিকারিকরা। কিন্তু বাঁধের অতিরিক্ত জল রাজ্যের প্রতিনিধিকে জানিয়েই ছাড়া হচ্ছে বলে দাবি জানিয়েছে ডিভিসি কৃর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন, Flood Situation: বন্যা পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে, খানাকুলে উদ্ধারকাজে নেমেছে বায়ুসেনা
অপরদিকে, প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ডিভিসি, মাইথন এবং পাঞ্চেত বাঁধ থেকে জল ছাড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। মমতাকে বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মোদী। তবে দুই বঙ্গের একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতি যে ডিভিসি-র জল ছাড়ার কারণেই তৈরি হয়েছে, তা স্বীকার করে নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি টুইট করা হয়েছে। উল্লেখ্য, নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টির জেরে বানভাসি অবস্থা পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। পুর এলাকার পাশাপাশি জলের তলায় গ্রামাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা। তবেও ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ সহ আবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, বুধবার ও বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস । বুধবার উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা , পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং হাওড়া জেলাতে ১০০ মিলি মিটার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার উপকূলের চার জেলা পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা সঙ্গে হাওড়া এবং ঝাড়গ্রামে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে
আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস