উত্তর ভারতে ইতিমধ্য়েই হিমশীতল ঠান্ডা পড়েছে। উত্তর সিকিমের লাচেনে শুরু হয়েছে তুষারপাত। কিন্তু শহর কলকাতায় এখনও শীতের দেখা নেই। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ পড়ে যাওয়ার পরেও স্বাভাবিকের ওপরে শহর কলকাতার তাপমাত্রা। গত বুধবারের পর থেকে শুক্রবার অবধি তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশেই ঘোরা ফেরা করছে। তার সঙ্গে বাতাসে আদ্রতার পরিমানও খুবই ওঠা নামা করছে। প্রায় বেশিরভাগ দিনই আকাশ মেঘলা থাকার জন্য় বেলা বাড়লে গরম অনুভব হচ্ছে কলকাতাবাসীর।
আরও পড়ুন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে পথে নামছে তৃণমূল, আন্দোলনের ডাক দিলেন মমতা
আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, শনিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ ছুঁতে পারে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শহরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ১০০ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ন্যূনতম ৫৭ শতাংশ। বেলা বাড়ার সঙ্গে তাপমাত্রা খানিকটা বেড়ে ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন, বুড়ো বয়সের প্রেম ধোপে টিকল না, ২৩ লাখ টাকার প্রতারণার শিকার লেক গার্ডেনসের বাসিন্দা
শনিবার সহর কলকাতার তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর।আরব সাগরের ঘূর্ণিঝড় পবন টেনে নিচ্ছে উত্তুরে হাওয়া। রাজ্যে কমেছে উত্তর-পশ্চিম হওয়ার প্রভাব। পূবালী হওয়ায় বেড়েছে তাপমাত্রা। এখন তাই ক্রমেই অস্বস্থি বাড়ছে ছাড়া কমছে না। রোগ-জীবানুর পরিমান বাড়ছে। সর্দি-কাশি-জ্বর প্রত্য়েক ঘরে কম-বেশি লেগেই আছে। যতক্ষন না তাই ঠান্ডা পড়বে, ততক্ষন রেহাই নেই কলকাতাবাসীর।
আরও পড়ুন, বেহালায় গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যু, শ্বশুরবাড়ির বাথরুমে মিলল ঝুলন্ত দেহ
কলকাতা তথা রাজ্য়ে শীত না পড়ার আরও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণও রয়েছে, সেটা হল পশ্চিমী ঝঞ্জা। আবহাওয়া দফতর আগেই জানিয়েছিল, পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ও সঙ্গে রাজস্থানে ঘূর্ণাবর্তের জেরে জম্মু-কাশ্মীর হিমাচল প্রদেশ উত্তরাখণ্ডে তুষারপাতের সম্ভাবনার কথা এবং যা ইতিমধ্য়েই শুরু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কলকাতার ক্ষেত্রে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি জাঁকিয়ে শীত পড়ার কথা তা সত্য়ি হল না। এবং এর সঙ্গে পাঞ্জাব, হরিয়ানা চণ্ডীগড় ও দিল্লিতেও এবং কিছুটা উত্তরপ্রদেশের পশ্চিমাংশে বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।