
চলতি বছর পুজোর বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই নেই। অষ্টমীর মত নবমীর বিকেল থেকেই পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, হুগলি, হাওড়ায় বিক্ষিপ্ত হয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়, কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির (Rain)সতর্কতা দিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া (Weather Depertment) দফতর। হাওয়া অফিস জানিয়েছে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে কলকাতা (Kolkata) ও দুই ২৪ পরগনায় দফায় দফায় বৃষ্টিপাত হতে পারে। কোনও কোনও এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎসহ ভারী বৃষ্টিও হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস দশমীর দিনেও বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। দশমীর দিনও সকাল থেকেই আকাশের মুখভার থাকবে বলে পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। সঙ্গে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। তবে শনিবার থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। ১৭ ও ১৮ অক্টোবর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। বর্ষা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু ঘনীভূত হয়েছে নিম্নচাপ। তারই জেরে এই বৃষ্টি বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
Income Tax Returns: ২ কোটিরও বেশি আয়কর রিটার্ন জমা, নতুন পোর্টালের মাধ্যমে
No Bail: নিয়মিত মাদক নিতেন, আরিয়ানের জামিন মামলায় সওয়াল NCB-র, পরবর্তী শুনানি বুধবার
অন্যদিকে প্রবল বর্ষণে বর্ধমান শহরের বিভিন্ন পুজো মণ্ডপের সামনে জল জমে যায়।হঠাৎ বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন দর্শনার্থীরা। তারা ঠাকুর দেখতে গিয়ে আটকে পড়েন বিভিন্ন মণ্ডপে। পুজোর আগেই হাওয়া অফিস অবশ্য বলেছিল অষ্টমীর দিন থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে। বলা হয়েছিল আন্দামান সাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর ধীরে ধীরে সেটি উড়িশা উপকূলে চলে যাবে। অষ্টমীর দিন থেকে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বাড়বে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী এবার দেবীর দোলায় চড়ে কৈলাস যাত্রা। তাই পুরাণ অনুযায়ী দশমীতে ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।