সকালের দিকে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও বিকেল বা সন্ধ্যের দিকে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা কলকাতায়। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কলকাতায় ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়বে বুধবার। কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখী সহ ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার রাজ্যজুড়ে ঝড়-বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে।
আরও পড়ুন, চপ, গয়না, মোবাইলের দোকান খোলা যাবে রাজ্যে,নতুন ছাড়পত্র ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বুধবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৮.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। শহরের বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯০ শতাংশ। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ন্যূনতম ৪৫ শতাংশ। বুধবার এই মুহূর্তে শহর কলকাতার তাপমাত্রা ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অপরদিকে, বিহার থেকে ছত্রিশগড় পর্যন্ত একটি অক্ষরেখা। অক্ষরেখার প্রভাবে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে । এর জেরে বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা। দক্ষিণবঙ্গে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড় বৃষ্টি হতে পারে। কয়েকটি জেলায় কালবৈশাখীর সম্ভাবনা। ঘন্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিবেগে ঝড় বইতে পারে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ মাঝারি বৃষ্টির ও সম্ভাবনা। উত্তরবঙ্গে আজ বিক্ষিপ্তভাবে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা। বুধবার রাজ্যের কয়েকটি জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস। বৃহস্পতিবার থেকে ঝড়-বৃষ্টি কমবে রাজ্যে।
আরও পড়ুন, ১৫ মিনিটেই টিকিট শেষ হাওড়া থেকে দিল্লিগামী বিশেষ ট্রেনের
অন্ধ্র ও ওড়িশা উপকূলেই ঝাঁপিয়ে পড়বে এই সাইক্লোন আমফান, বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল আবহাওয়া অফিসের তরফে ৷ কিন্তু যেভাবে ধীরে ধীরে গতিপথ বদলাচ্ছে তাতে উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকেই আস্তে আস্তে এগোচ্ছে এই ঝড়৷ আর সেখানেই ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে নিজের ক্ষমতা আরও খানিকটা বাড়িয়ে নিচ্ছে ৷ কিন্তু সাম্প্রতিক তার গতিতে যে পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা যেভাবে এগোচ্ছে আমফান তাতে এই সাইক্লোন মে মাসের ১৯ থেকে ২০ তারিখ নাগাদ স্থলভাগে ঝাঁপিয়ে পড়বে ৷ মে মাসের ১৬ তারিখ থেকে বঙ্গোপসাগরের মধ্যেই নিজের শক্তি আরও বাড়ানোর কাজ শুরু করবে সাইক্লোন আমফান ৷ সেখানে পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের উপর প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনায় তৈরি হয়েছে আশঙ্কা৷