আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করবে।
গোটা শীতকালই কেটে গিয়েছে বৃষ্টি ও ঠান্ডার লুকোচুরি খেলাপর মধ্যে দিয়ে। শীতের দেখা তেমনভাবে পাওয়াই যায়নি। কয়েকদিন ঠান্ডা হওয়ার পর আবার বৃষ্টি এসে কমিয়ে দিয়েছে শীতের প্রভাব। শীতের মরশুমে এমনই খামখেয়ালিপনার স্বাক্ষী থেকেছেন রাজ্যবাসী। শীত বিদায় নিচ্ছে কিন্তু এখনও পর্যন্ত বৃষ্টির প্রভাব কমেনি। রবিবার থেকে রাজ্যে বৃষ্টি (Rain in West Bengal) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, সেদিন বৃষ্টি হয়নি। অবশ্য গোমরা ছিল আকাশের মুখ। এদিকে সোমবার আবার আকাশ পরিষ্কারই ছিল। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়, ২৩ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ আগামীকাল পর্যন্ত রাজ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। দক্ষিণবঙ্গে বুধবার পর্যন্ত আকাশ পরিষ্কারই থাকবে। কিন্তু, তারপর থেকেই আকাশের মুখ ভার হতে শুরু করবে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের (Alipore Weather Office) পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি সম্ভাবনা রয়েছে। মূলত ২৪ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) থেকেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা হতে শুরু করবে। বিশেষ করে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমানে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বৃহস্পতিবার। এর পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও খুব হালকা বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে শুক্রবার। এই দিন বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতে শুক্রবার খুব হালকা বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। উপকূলের দিকে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা কম হবে। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এদিন শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁতে পারে। আর কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে ২৪ ফেব্রুয়ারি সব জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ২৫ ফেব্রুয়ারি তুলনায় একটু বেশি বৃষ্টি হবে উত্তরের জেলাগুলিতে। আগামী ৪৮ ঘণ্টা সেখানে আকাশ মোটামুটি পরিষ্কারই থাকবে। তবে পাহাড়ি জেলাগুলিতে আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। আজ ও আগামীকাল দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন-আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে মিলে গেল দুই বাংলা, অমর একুশের সম্মানে নত কাঁটাতার
এবারের মরশুমে তেমনভাবে জমাটি ঠান্ডা পায়নি বঙ্গবাসী। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে বারবার বৃষ্টির মুখে পড়েছে বাংলা। আর তাতে প্রত্যেকবার ব্যাঘাত ঘটেছে শীতে। কয়েকদিন জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও তা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। আবার বৃষ্টি এসে কমিয়ে দিয়েছে শীতের অনুভূতি। এমন ঘটনা এই মরশুমে একাধিকবার হয়েছে। আবহবিদরা বলছেন, যেভাবে ক্রমেই ঘন ঘন বদলাচ্ছে বঙ্গের আবহাওয়া তাতে সামগ্রিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জলবায়ু। যার প্রভাব পড়ছে চাষে। অকাল বৃষ্টির জেরে পচে গিয়েছে বহু সবজি। আর তার প্রভাব পড়ছে বাজার দরের উপর। এরপর সবজির দাম আগুন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- ঘন কুয়াশার জের, আজ কলকাতা বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত