সভ্য কলকাতার অসভ্য মুখ। করোনার ভয় গ্রাস করতেই জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য় শুনতে হল মহিলাকে। ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে মহিলার অভিযোগের সেই ভিডিয়ো। যেখানে কাঁদতে কাঁদতে মহিলা বলছেন-'২৮ বছর ধরে কলকাতায় রয়েছি,কখনও নিজেকে বিদেশি মনে হয়নি।
করোনার নাম ভাঁড়িয়ে ডাকাতি, মাস্ক পরে দিনেই সোনার দোকান লুঠ
এক সময় কলকাতাকে বলা হত, 'কালচারাল ক্য়াপিটাল অব ইন্ডিয়া'। অর্থাৎ ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই তকমায় জং পড়েছে। গুণীজনেরা বলেন, ধীরে ধীরে নিজের রীতি নীতি খোয়াচ্ছে কলকাতা। শুক্রবার সেরকমই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল মহানগর। সোশ্যাল মিডিয়ায় এক মহিলা দাবি করেছেন, তাঁর বাবা পুলিশে চাকরি করেন,বাইরে থাকেন। বহু বছর ধরে তিনি কলকাতার বাসিন্দা। কিন্তু সেই তিলোত্তমাই এখন তাঁকে পর করে দিচ্ছে। কলকাতার গায়ে করোনার থাবা পড়ার পরই পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে মহানগরের পরিবেশ।
৬ মাস বিনামূল্য়ে রেশন দেবে রাজ্য়, করোনা আতঙ্কে ঘোষণা মুখ্য়মন্ত্রীর
মঙ্গলীয় ধাঁচের কোনও মুখ দেখলেই এখন করোনা বলে 'চিমটি' কাটছে শহরের একাংশ। কিন্তু এতদিন কেউ 'চাইনিজ-নেপালিজ তোমরা ভারতীয় নও' বলে গালিগালাজ করেনি। এবার করোনার দৌলতে তাও শুনতে হল তাদের। ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, যার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, মোবাইলের ক্যামেরা অন হতেই মুখ লুকোতে ব্যস্ত সেই দোকানি। বার বার চেষ্টা করেও তাকে দেখাতে পারছেন না মহিলা। কিন্তু জাতি বিদ্বেষী কথা বলায় কেঁদে ভাসিয়ে চলেছেন অভিযোগকারী। যদিও মহিলার অভিযোগ শুনে পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেকেই, কলকাতার এই কদর্য মুখ দেখে নিজেকে বাঙালি বলতে দ্বিধা হয় বলেছেন পথচলতি এক মহিলা।
কোটি কোটি টাকা ঢুকছে অ্যাকাউন্টে, ৩০ টি গ্রুপের অ্যাডমিন 'জঙ্গি যুবতী'
মহিলার অভিযোগ , তাঁকে যখন এই ধরনের জাতি বিদ্বেষী মন্তব্য় করা হয়েছে তখন আরও একজন সঙ্গ দিয়েছে ওই দোকানির। এক বয়স্ক মহিলা ওই দোকানিকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন । কিন্তু সংস্কারী কলকাতার এই অসভ্য়তার প্রতিবাদ করেননি তাঁরা। যা দেখে হতবাক হয়েছেন অভিযোগকারী মহিলা। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,'আমার কলকাতায় অনেক বাঙালি বন্ধু রয়েছে। আমি ছোট থেকেই কলকাতায় বড় হয়েছি। সব মিলিয়ে কলকাতায় ২৮ বছর কেটে গেল। কিন্তু এই ধরনের লোকদের কলকাতায় দেখে মনে হচ্ছে- ব্লাডি রেসিস্ট'।