বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চরক্ত চাপ শরীরের পক্ষে বেশ ক্ষতিকর। এতে হার্ট অ্য়াটাকক, সেরেব্রাল অ্য়াটাক ও স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যদি কোনও ব্যক্তির হৃদ-সংকোচন বা সিস্টোলিক রক্ত চাপ উভয় বাহুতে ১৪০ মি.মি অথবা তার উপরে থাকে কিংবা হৃদ-প্রসারণ বা ডায়াস্টলিক চাপ ৯০ মি.মি অথবা উপরে থাকে,তাহলে সেই ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ প্রবণতা রয়েছে বলে মনে করা হয়। জানলে অবাক হবেন, হাইপারটেনশন একজন ব্যক্তির রক্তচাপের সমস্যাকে প্রভাবিত করে। মানসিক চিন্তাও অবসাদের ফলেও উচ্চরক্ত চাপজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
যে সকল কারণ উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে সেগুলো হল বেশি লবণ যুক্ত খাবার, শরীরে অতিরিক্ত মেদ, কাজের চাপ, মদ্যপান, পরিবারের আকার, অতিরিক্ত ঘিঞ্জি পরিবেশে থাকা। উচ্চরক্তচাপের কারণ শরীরের অন্যান্য অঙ্গের ওপর এর স্বল্প থেকে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়ে। বিশেষত স্ট্রোক, হার্ট ফেইলিউর, হৃদক্রিয়া বন্ধ, চোখের ক্ষতি এবং কিডনির সমস্যা ইত্যাদি রোগের ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। তাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত শরীরচর্চার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিও তার নিজস্ব স্যোশাল মিডিয়া চ্যানেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখার সহজ উপায় দেখিয়েছেন, দেখে নিন শিল্পার সেই সহজ টোটকা-
মৃদু উচ্চরক্তচাপ সাধারণত খাদ্য নিয়ন্ত্রণ, ব্যায়াম এবং শারিরীক সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। ফল, শাক সব্জি, স্নেহ বিহীন দুগ্ধজাত খাদ্য এবং নিম্নমাত্রার লবণ ও তেলের খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ বিশিষ্ট রোগীর রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত হালকা ব্যায়াম রক্ত চলাচলের উন্নতি করে, এবং রক্তচাপ কমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়াও পরিবেশগত চাপ যেমন উঁচু মাত্রার শব্দের পরিবেশ বা অতিরিক্ত আলো পরিহার করাও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী হতে পারে।