সামনেই পুজো। এমন সময় পছন্দের পোশাক পরত বাধা সৃষ্টি করছে পিঠে হওয়া আবাঞ্ছিত কালো দাগ। বয়ঃসন্ধিকালে ছেলে ও মেয়ের নির্বিশেষে টেস্টোস্টেরন এর মত অ্যান্ড্রোজেন বৃদ্ধির ফলে ব্রণ হতে পারে। মানব ত্বকের একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগবিশেষ যা বিশেষত লালচে ত্বক, নডিউল, পিম্পল, তৈলাক্ত ত্বক, ক্ষত চিহ্ন ইত্যাদি দেখে চিহ্নিত করা যায়। ব্রণ হল ত্বকের উপর তৈলাক্ত গ্রন্থির মাত্রার উপর ব্রণ হওয়া নির্ভর করে। এমন সব স্থান হল-মুখ, বুকের উপর অংশ ও পিঠ। টিনএজ-এ এই সমস্যায় ভুগতে প্রায় কম-বেশি সকলকেই। তবে কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করে। তবে অনেক সময় টিনএজ পেরিয়ে গেলেও এই সমস্যায় ভুগতে দেখা যায়।
মুখের পাশাপাশি অনেকেরই এই সমস্যা সারা পিঠে অতি মাত্রায় দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, শরীরের যে কোনও জায়গায় এই সমস্যা দেখা দিতে পারে । এই সমস্যার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর বিষয় হল এর দাগ। আর পিঠে এই দাগ থেকে যাওয়ার ফলে অনেক সময় পছন্দের পোশাক পরা অসম্ভব হয়ে ওঠে। তবে এই ব্রণ বা অ্যকনে কেন হয়! এই বিষয়ে কী বলছে বিশেষজ্ঞরা জেনে নেওয়া যাক। প্রথমত যাঁদের খুব বেশি ঘাম হয়, তারা নিজেদের পরিষ্কার না রাখলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এই রোগ হরমোনের কারণ ছাড়াও টাইটফিট পোশাক, ঘামে ভিজে থাকা পোশাকের জন্যও দেখা দিতে পারে। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি মেনে চললে ব্রণর এই জেদি দাগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) প্রথম শর্ত হল নিজেকে পরিষ্কার রাখা। এর সঙ্গে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল বডিওয়াস বা সাবান ব্যবহার করুন।
২) এই সমস্য়ায় ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। পিঠের ব্রণর মধ্যে এই জেল লাগিয়ে আধ ঘন্টা রেখে দিন। এর পর কাপড় দিয়ে মুছে ফেলুন অথবা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩) ব্রণর জেদি দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন গ্রিন টি। তুলোর সাহায্যে ব্রণর মধ্যে ঠান্ডা গ্রিন টি লাগালে উপকার পাবেন। গ্রিন টিতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পলিফেলন যা ব্রণ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
৪) টক দই ভাল করে ফেটিয়ে পিঠে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। টক দইয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোবায়োটিক যা ত্বকের এই সমস্যা মেটাতে সাহায্য করে। এছাড়া
৫) কাঁচা হলুদ বেটে পিঠে লাগাতে পারেন, শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ব্রণ সারাতে সাহায্য করে।