সুদূর চিন থেকে যে এই রোগ সহজেই প্রবেশ করতে পারে ভারতে এর কথা আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল। অবশেষে কি বাঁশদ্রোনী এলাকায় খোঁজ মিলল এই ব্যকটেরিয়ারই!
নতুন বছর আসতে না আসতেই উদ্বেগ বাড়িয়েছিল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এর পাশাপাশি পাল্লা দিচ্ছিল চিনের এই নিউমোনিয়া। অবশেষে খোদ কলকাতা শহরেই হদিশ মিলল এই অজানা ভয়ের। সুদূর চিন থেকে যে এই রোগ সহজেই প্রবেশ করতে পারে ভারতে এর কথা আগেই স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছিল। অবশেষে কি বাঁশদ্রোনী এলাকায় খোঁজ মিলল এই ব্যকটেরিয়ারই!
এই রোগের উপসর্গ কিছুটা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো। বেজিং এবং লিয়াওনিংগে হাসপাতালগুলিতে এই অজানা নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত শিশুদের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে বলে জানা গিয়েছে, তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যমগুলি থেকে। করোনার মতো রোগও নাকি ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে চিনের অন্যান্য প্রদেশেও।
কলকাতার ১০ বছররে বাচ্চা মেয়েটির শরীরে যে ভাইরাস পাওয়া গিয়েছে তা পরিক্ষা করে দেখছেন চিকিৎসকের দল। পার্ক সার্কাসের ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথে মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। তবে বছর দশেকের এই মেয়েটির শরীরে যে মাইকোপ্লাজমা নিউমোনি ব্যাকটেরিয়ার খোঁজ মিলেছে এই ব্যাকটেরিয়াই অ্যাকিউট নিউমোনিয়ার জন্য দায়ী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, মেয়েটি প্রচণ্ড শ্বাসকষ্টের সমস্যা ছিল যেই কারণে তাকে অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়। সেই সঙ্গে সর্দি ও শুকনো কাশি ও ধুম জ্বরের মতো উপসর্গও ছিল। চোখেও ছিল সংক্রমণ। মেয়েটির থুতু-লালার নমুনা পরীক্ষা করে জানা যায় মেয়েটি মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। তবে নিউমোনিয়ার অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়ার পরে ধীরে ধীরে মেয়েটি স্থিতিশীল হয়ে উঠছে