সজনে পাতার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি পানীয় বেশ উপকারী। সকালে খালি পেটে এই পানীয় খেলে মিলবে উপকার। এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ সজনে পাতার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই সজনে পাতার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি পানীয়ের গুণে পিসিওস থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
শতমূলী পানীয়
ভরসা করতে পারেন শতমূলী হার্বের ওপর। এটি নানান গুণে পূর্ণ। প্রতিদিন ১ চামচ শতমূলী পাউডার দিয়ে পানীয় তৈরি করুন। এতে গ্লাইকোসাইড, অ্যালকালয়েড, পলিস্যাকারাইড ও আইসোফ্লাভোন সহ ৫০টি জৈব যৌগ আছে। যা প্রজনন স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও উপকারী। সঙ্গে পিসিওস রাখে নিয়ন্ত্রণে।
জবা চা
ডায়েটে যোগ করুন জবা চা। এই চা মূত্রাশয়, জরায়ুর বেশিগুলোকে শিথিল করে। একটি প্যানে জল গরম হতে দিন। তাতে শুকনো জবা ফুলের পাপড়ি দিন। ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে তা ছেঁকে নিন। নিয়মিত এই চা পানে মিলবে উপকার।
পুদিনা চা
ভরসা রাখতে পারেন পুদিনা চা-র ওপর। এই চা পিসিওস-র সমস্যা রাখে নিয়ন্ত্রণে। এটি অ্যান্টি অ্যান্ড্রোজেনিক বৈশিষ্ট্য পূর্ণ। ডায়েটে যোগ করুন পুদিনা চা। একটি পাত্রে জল নিন। তা গরম হতে শুরু করলে পুদিনা পাতা দিন। ফুটে গেলে ছেঁকে নিন। মিলবে উপকার।
মেথি ভেজানো জল
পিসিওএস-র সমস্যা সমাধানে মেথি ভেজানো জল বেশ উপকারী। এক গ্লাস জলে ১ চা চামচ মেথি দিন। সারা রাত ভিডিয়ে রেখে দিন। সকালে উঠে তা ছেঁকে নিন। এই জল পানে মিলবে উপকার।
অ্যালোভেরা জুস
হরমোন জনিত যে কোনও সমস্যা দূর করতে উপকারী অ্যালোভেরা জুস। অ্যালোভেরা গাছের পাতা কেটে জেল বের করে নিন। এবার তাতে অল্প পরিমাণ জল দিয়ে মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। ছেঁকে নিন। এই জুস পিসিওএস-র সমস্যা দূর করতে বেশ উপকারী। চাইলে বাজার চলতি অ্যালোভেরা জুস কিনেও খেতে পারেন।
অশ্বগন্ধা
সমস্যা সমাধানে ভরসা করতে পারেন অশ্বগন্ধা-র ওপর। পিসিওএস-র উপসর্গ দেখলে এই ভেষজ উপাদান যোগ করুন ডায়েটে। এটি দ্রুত সমস্যা থেকে দেবে মুক্তি। এতে মিলবে উপকার। আধ চামচ অশ্বগন্ধা খেলেও মিলবে উপকার।
পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS হল এটি হরমোনজনিত রোগ। এরই সঙ্গে রোগ মুক্ত থাকতে চাইলে ত্যাগ করুন মদ্যপান। মদ্যপানের কারণে এই সমস্যা বাড়তে থাকে। তাই সবার আগে এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
অনিয়মিত পিরিয়ডস, মুখে অধিক রোম, ওজন বৃদ্ধি ও ব্রণ হল এই রোগের লক্ষণ। তেমনই একবার পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS-এ আক্রান্ত হলে বন্ধ্যাত্ব, ডায়াবেটিস ও হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। রোগ মুক্ত থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। মিলবে উপকার।
পিলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম বা PCOS রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার সঙ্গে নিয়ম করে ব্যায়ম করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে রোগ থাকবে নিয়ন্ত্রণে।