বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে। এই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সুইটনারে ক্যানসারের জীবাণু বহন করে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এক চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এনেছে। এই প্রকাশিত প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে কৃত্রিম উপায়ে তৈরি সুইটনারে ক্যানসারের জীবাণু বহন করে।
Main Body Content-
বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বহুব্যবহৃত কৃত্রিম সুইটনার অ্যাসপারটেম-এ রয়েছে ক্যানসারের জীবাণু। এই অ্যাসপারটেম যে সব খাদ্যপণ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করে ব্যবহৃত হচ্ছে সেখানে ক্যানসারে আক্রমণের ভয়ও থেকে যাচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এই তথ্য সামনে এনেছে রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন। সেখানে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণাকারী শাখা ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসার বা আইএআরসি-র একটি রিপোর্টকে উদ্ধৃত করেছে রয়টার্স।
অ্যাসপারটেম-এর মতো কৃত্রিম সুইটনার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় কোকা কোলার সোডা তৈরিতে এবং মার্স এক্সট্রা নামে চুইং গাম-এ। এই ধরনেরই প্রোডাক্টই বিশ্বজুড়ে এক বিপুল বাজার তৈরি করে রেখেছে। যদিও, রয়টার্সের প্রকাশ করা এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কোকা কোলা বা মার্স এক্সট্রা-র কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
জানা গিয়েছে অ্যাপারটেম যে ক্যানসারবাহী তা জুলাই মাসের এক বিবৃতি দিয়ে জানাতে পারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কোন কোন জিনিস থেকে মানুষ ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারে- সেই তালিকায় অ্যাসপারটেমকে রাখা হচ্ছে বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সূত্রে খবর। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের মাধ্যমে অ্যাসপারটেম-এর নমুনা পরীক্ষা করে এতে ক্যানসার জীবাণু থাকার বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শাখা আইআরএ নিশ্চিত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে।
তথাপি, অতিতে আইআরএ-র এমন বহু গবেষণাকে ঘিরে প্রশ্ন উঠেছিল। বিতর্ক এতটাই মাত্রা নিয়েছিল যে তা আইনি-আদালত পর্যন্ত গড়ায়। যার পরিণামে এমন সব পণ্যের প্রস্তুতকারকরা নতুন করে আবার সেই ফর্মূলা তৈরি করে। তাই আইআরসি-এর বক্তব্য নিয়ে বরাবারই এমন আওয়াজও উঠেছে যেখানে বলা হয়েছে এদের দাবি করা তথ্য সত্যিকারেই বিভ্রান্তিমূলক।
জিইসিএফএ- বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আরও এক শাখা তারাও এই পরীক্ষা-নিরিক্ষায় আইএআরসি-র তথ্য যাচাই করে দেখেছে। আর এই নিয়ে তারাও একটা বিবৃতি দেবে। তবে, অ্যাসপারটেম নিয়ে মূল ঘোষণা হবে ১৪ জুলাই। আর তা করবে আইএআরসি।
১৯৮১ সাল থেকে জিইসিএফএ যদিও বলে এসেছে রোজ নির্দিষ্ট মাত্রার মধ্যে অ্যাসপারটেম ক্ষুদ্রান্তে প্রবেশ করে তাহলে এতে আতঙ্কের কিছু নেই। কিন্তু, এই মাত্রা যদি রোজকার মাত্রাকেও ছাড়িয়ে যায় তাহলে বিপদ আসন্ন। জিইসিএফএ উদাহরণ দিয়ে বলেছে- ৬০ কিলো ওজনের এক প্রাপ্ত বয়ষ্ক যদি ১২ থেকে ৩৬ ক্যান ডায়েট সোডা পান করে থাকে, তাহলে বিপদ আছে। আর এই সব খাদ্য পণ্যে ঠিক কতটা অ্যাসপারটেম রয়েছে তা জানাও জরুরি।
আরও পড়ুন---
বর্ষা মৌসুমে আপনার স্বাস্থ্যের যত্ন নিন, এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলিতে বিশেষ নজর দিন
জলের কারণে যে রোগগুলি শরীরে বাসা বাধে, তাই বর্ষার শুরুতেই এইভাবে নিন নিজের যত্ন
শরীরে মশার কামড়ে চুলকানি এবং লাল দাগ, চট করে মুক্তি পেতে এই ব্যবস্থা নিন