Reverse Walking: ওজন কমাতে হাঁটার চেয়েও বেশি কার্যকরী উলটো দিকে হাঁটা? জেনে নিন উলট পুরাণের গুনাগুন
সাধারণত হেঁটে সামনের দিকেই এগোন অধিকাংশ মানুষ। কিন্তু, কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও শরীরের সার্বিক উন্নতি করতে হলে, পিছন দিকে হাঁটার অভ্যাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শরীরের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ করা আর ফিটনেস বজায় রাখা,
দুই উদ্দেশ্যেই দারুণ কার্যকরী ব্যায়াম হল হাঁটা। গবেষণায় দেখা গেছে যে, রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওবেসিটি, সব গুরুতর রোগই হাঁটার কাছে জব্দ।
কিন্তু, অনেকক্ষণ ধরে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটাহাটি করার পরেও যদি আশানুরূপ ফল না পাওয়া যায়,
তাহলে চেষ্টা করতে পারেন একটা ভিন্ন উপায়। ফিটনেস বিশেষজ্ঞরা প্রায়ই বলেন যে, কতটা হাঁটছেন, তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হল, কী ভাবে হাঁটছেন।
সাধারণত হেঁটে সামনের দিকেই এগোন অধিকাংশ মানুষ।
কিন্তু, কিছুটা অস্বাভাবিক মনে হলেও শরীরের সার্বিক উন্নতি করতে হলে, পিছন দিকে হাঁটার অভ্যাস করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পিছনে হাঁটা অভ্যাস করলে কী কী উপকার হতে পারে?
১) ক্যালোরি ঝরে
প্রশিক্ষকেরা বলছেন, সামনে হাঁটার অভ্যাস যে পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ায়, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি বার্ন করা যায় উল্টো দিকে হেঁটে।
২) মন ভালো থাকে
দীর্ঘ দিন ধরে হাঁটতে হাঁটতে একঘেয়েমি এসে যেতে পারে। শরীরের সঙ্গে মনের যোগ থাকে। শরীরচর্চার সঙ্গে যদি মনের সামঞ্জস্য না থাকে, তাহলে হয়তো ওজনে ভালোভাবে কমবে না। উল্টো দিকে, হাঁটলে সেই একঘেয়েমি কাটতে পারে।
৩) পায়ের পেশি মজবুত করে
পায়ের পেশি মজবুত করার জন্য ব্যায়ামের চেয়ে দ্রুত কাজ করে উল্টো দিকে হাঁটা। শুধু পায়ের নয়, দেহের নিম্নাংশের সব পেশির নমনীয়তাই বাড়িয়ে তোলে এই উলট পুরাণ।
৪) দেহের ভারসাম্য বজায় রাখে
উল্টো দিকে হাঁটলে দেহ ভারসাম্য বজায় রাখতে অভ্যস্ত হয়। হাঁটতে গিয়ে শরীরের ভারসাম্য টালমাটাল হয়ে পড়ে। ক্রমাগত উলটো দিকে হাঁটা অভ্যাস করলে উপকার পেতে পারেন।
৫) পাচন প্রক্রিয়া উন্নত করে
শরীরের ওজন ঝরানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ হল ভালো হজম প্রক্রিয়া। পাচনক্রিয়া উন্নত করতে অনেকেই অনেক টোটকার সাহায্য নেন। প্রশিক্ষকেরা বলছেন, উল্টো দিকে হাঁটা অভ্যাস করলে ওজন ঝরানোর কসরৎ আরও জোরদার ভাবে বিপাকহারকে প্রভাবিত করবে।