H3N2র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা, রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করল কেন্দ্র

Published : Mar 11, 2023, 04:16 PM IST
what is Influenza A virus subtype H3N2

সংক্ষিপ্ত

H3N2র সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা। স্বাস্থ্য বিধি ও নজরদারি নিয়ে রাজ্যগুলিকে চিঠি লিখে সতর্ক করল কেন্দ্রীয় সরকার। 

সিজিনাল ইনফ্লুয়েঞ্জার সাবটাইপ H3N2 দ্রুত হারে বাড়ছে। তারই সঙ্গে কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও । যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র সরকার। স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে এই বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা জরুরি। কেন্দ্র সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ইনফ্লুয়েঞ্জার মত অসুস্থতা বা গুরুতর বা তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণে আক্রান্তদের ওপর নজরদারী করার নির্দেশ দিয়েছে। আক্রান্তদের ক্ষেত্রে কী কী মানতে হবে তারও নির্দেশিকা অনুসরণ করতে অনুরোধ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

রাজ্যহুলিকে ওষুধ ও মেডিক্যাল অক্সিজেনের প্রাপ্যতা, COVID-19 ও ইনফ্লুয়েঞ্জার ওপর যাবতীয় টিকা দেওয়ার কর্মসূচির ওপর জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি হাসপাতালগুলিকে তৈরি করে রাখতেও পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সচিব রাজেশ ভূষণ জানিয়েছেন, গত কয়েক মাস ধরেই COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু কিছু রাজ্যে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিকে COVID-19 পরীক্ষা ধীরে ধীরে বাড়তে পরামর্শ দিয়েছে। শনিবারও এই চিঠি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে পাছান হয়েছে।

কেন্দ্রের চিঠিতে বলা হয়েছে নতুন করে COVID-19 আক্রান্তের সংখ্যা কম। সেই কারণে হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও রীতিমত কং। কিন্তু তারপরও COVID-19- মহামারি নিয়ে এখনও সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। পরীক্ষা ট্র্যাকিং ও চিকিৎসা এই ক্ষেত্রগুলিতে কোনও গাফিলতি করা ঠিক নয় ।

অন্যদিকে সিজিনাল ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্তের সংখ্যা গোটা দেশেই ডিসেম্বর মাস থেকে বেড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও করেছিল। সেই বৈঠকেই পরিস্থিতি মোকাবিলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, ইনফ্লুয়েঞ্জা একটি ঋতুগত ঘটনা , এই সময়টা ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রাদুর্ভাব বাড়ে। তবে প্রত্যেক মানুষকেই এইসময়টা ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধির প্রতি যত্ননিতে হবে। পর্যাপ্ত সুরক্ষা নিয়ে বাড়ির বাইরে যেতে হবে। কাশি হয়ে প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চলতি বছরে ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার N1N1 , H3N2 ও অ্যাডিনোভাইরাসের মত ভাইরাসগুলি শ্বাসযন্ত্রকে সংক্রমিত করছে। ইন্টিগ্রেটেড ডিজিস সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রামের অধীনে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ওপর রাজ্যের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকারও নজর রাখতে বলে রাজেশ ভূষণ তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন।

রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন জানুয়ারি থেকেই অ্যডিনোভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছিল। পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপও বেশি দেখা গিয়েছিল। যে কারণে ইতিবাচক পরীক্ষাও শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই ভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধি ও গর্ভাবতী মহিলারা। পাশাপাশি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরও সমস্যা বাড়ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের সাবাধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, রোগলুর সংক্রমণ কমানোর জন্য শ্বাসযন্ত্র ও হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। প্রয়োজনে মাস্ক পরতে ও বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ভিড় এড়িয়ে ও যোগাযোগ কমিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চিঠিতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অবশ্যই 'COVID-19-এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত নজরদারি কৌশলের জন্য অপারেশনাল নির্দেশিকা' প্রয়োগ করতে হবে যা ILI/SARI-এর ক্ষেত্রে উপস্থাপিত শ্বাসযন্ত্রের রোগজীবাণুগুলির সমন্বিত নজরদারির ব্যবস্থা করের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

৬০ সেকেন্ডের কম সময়ে মেজাজ হবে ভালো, রইল টিপস
ফ্যাটি লিভারের সমস্যা ভুগছেন? নিয়মিত এই যোগাসনগুলো করলে মিলবে আরাম, জেনে নিন কী কী