ক্লেড৯ চিকেনপক্স-এর লক্ষণৃ ক্লেড ৯ এর উপসর্গগুলি প্রচলিত স্ট্রেনের মতই। তবে কিছুটা অন্য বৈশিষ্ট রয়েছে। ক্লেডের প্রধান উপসর্গ হল চুলকানি, লাল দাগ, ফোস্কা।
ক্লেড ৯ (Clade 9) চিকেনপক্স ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট। সম্প্রতি এটি দেখা গেছে ভারতে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ - ন্যাশানালিনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির বিজ্ঞানীরা মাঙ্কিপক্স - সৃষ্টিকারী ভ্যারিসেলা - জোস্টার ভাইরাসের Clade 9 -এর প্রভাবশালী সংস্করণ আবিষ্কার করেছেন। এটি প্রথম ধরা পড়েছে কেরলার কোজিকোড়ে। ক্লেড১-৫ এই রূপগুলি আগেই ভারতে প্রাপ্ত বয়স্ক ও শিশুদের মধ্যে দেখা যেত। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ব্রিটেনের মত একাধিক দেশে Clade 9 এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যায়। এবার থেকে Clade 9 এর প্রাদুর্ভাব বেশি দেখা যাবে ভারতেরও - আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা।
ক্লেড৯ চিকেনপক্স-এর লক্ষণৃ ক্লেড ৯ এর উপসর্গগুলি প্রচলিত স্ট্রেনের মতই। তবে কিছুটা অন্য বৈশিষ্ট রয়েছে। ক্লেডের প্রধান উপসর্গ হল চুলকানি, লাল দাগ, ফোস্কা। ত্বকের এই সমস্যার সঙ্গে জ্বর মাথাব্যাথা, খিদে কমে যাওয়া, শরীরে ব্যাথা ও সাধারণ অস্বস্তি হওয়ার মত সমস্যা দেখা দেবে। অনেকেরই আবার জ্বরও হয়। তবে ফোসকাগুলি প্রবল সমস্যা দেয় ক্লেড ৯ ভ্যারিয়েন্টের ক্ষেত্রে। ব্যাকটেরিয়াজনিত ত্বকের সংক্রমণ, নিউমোনিয়া বা এনসেফালাইটিসের মতো জটিলতাগুলি চরম ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।
প্রতিকারের ব্যবস্থাঃ
চিকেনপক্সের টিকাই ক্লেড ৯ এর প্রতিকারের অন্যতম উপায়। টিকাই নির্ভরযোগ্য পদ্ধতি। তবে নতুন ভ্যারিয়েন্টের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও টিকা তৈরি হয়নি। টিকা নেওয়া থাকলে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি
ক্লেড ৯ এর সংক্রমণের ঝুঁকি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখার ওপর নির্ভর করে। সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, জল দিয়ে হাত ধোয়া সংক্রমণের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। দূষিত স্থান এড়িয়ে চলা জরুরি।
আক্রান্তদের বিচ্ছন্ন করা-
যদি কেউ ক্লেড 9 বা চিকেন পক্সে আক্রান্ত হয় তাহলে দ্রুত সেই ব্যক্তিকে আলাদা থাকার ব্যবস্থা করে নিতে হয়। তাহলেই ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা কমে যায়। এটি অত্যান্ত ছোঁয়াছে রোগ।
মুখ ও নাক ঢাকা
সংক্রামিত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে সাবধান। সংক্রমিতের কাছে গেলে বা সংক্রমিত ব্যক্তির মুখ ও নাক ঢেকে রাখা জরুরি। তাতে ভাইরাস কম ছড়ায়।
চিকিৎসকের পরামর্শ
ক্লেড 9 চিকেন পক্সের কোনো উপসর্গ লক্ষ্য করার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা যত দ্রুত শুরু হয় ততই ভাল। প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করে এবং লক্ষণগুলি সম্পর্কে সচেতন হল এই রোগ থেকে নিস্তার পাওয়া সম্ভব।