COVID 19 UPDATE: কোভিডের নতুন বংশধরের কারণেই আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে? দেশে একদিনে আক্রান্ত ৭০০

কোভিডের নতুন বংশধরের সন্ধান ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ ছুঁয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে

 

নতুন করে বাড়ছে করোনাভিরাসেরা সংক্রমণ। বুধবার সকাল আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকা ৮টা পর্যন্ত এই দেশে নতুন করে ৭০০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যারমধ্যে কর্ণাটকে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। ২০২২ সালের ১২ নভেম্বরের পর এই প্রথম করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা ৭০০-র গণ্ডী পার করল। বিশেষজ্ঞদের মতে কোভিড-১৯ XXB ভেরিয়েন্টের XXB1.16 এর একটি নতুন বংশধর। সম্প্রতিকালে ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার জন্য এটি দায়ী বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ। চিন, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বেশ কয়েকটি দেশে নতুন এই ভাইরাসের প্রকোপ দেখা গেছে।

বিশেষজ্ঞদের কথায় XBB1.16 ভেরিয়েন্ট XBB1.15 থেকে আসেনি। এটি XXB1.16 ও XBB1.15 দুটোরই রিকম্বিন্যান্ট পূর্বপুরুষ XBB ভেরিয়েন্ট থেকে এসেছে।

Latest Videos

একটি আন্তর্জাতিক কোভিড ট্র্যাকিং প্ল্যাটফর্মের রিপোর্ট হচ্ছে ভারতে সবথেকে বেশি সংখ্যক XBB1.16 ভেরিয়েন্টের কেস রিপোর্ট করা হয়েছে। বর্তমানে নতুন এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬। সিঙ্গাপুর ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ ও ১৫। ভারতের এক বিশেষজ্ঞ আবার জানিয়েছেন XBB1.16 আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি উত্তর প্রদেশ, গুজরাট ও মাহারাষ্ট্রে। বিশেষজ্ঞ বিপিন এম বশিষ্ট জানিয়েছেন, XBB.1এর বংশধর হিসেবে XBB1.15 গোটা বিশ্বে যথেষ্ট প্রভাবশালী। কিন্তু এটি এখনও পর্যন্ত ভারতে ততটা প্রভাব দেখায়নি। তিনি বলেছেন, XBB1.16 নিয়ে উদ্বেগের কারণ ভাইরাসের নন-স্পাইক অঞ্চলে কিছু মিউটেশন রয়েছে।

সম্প্রতি ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে সতর্ক করে চিঠি দিয়েছিলেন। কোভিড পরীক্ষার ইতিবাচক হার বাড়াতে অনুরোধ জানিয়েছেন। পাশাপাশি অক্সিজেন ও হাসপাতালের ব্যবস্থা করারও আবেদন জানিয়েছিলেন। রাজেশ ভূষণ রাজ্যগুলিকে লেখা চিঠিতে বলেছেন জানুয়ারি থেকেই অ্যডিনোভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছিল। পাশাপাশি ইনফ্লুয়েঞ্জার প্রকোপও বেশি দেখা গিয়েছিল। যে কারণে ইতিবাচক পরীক্ষাও শুরু করা হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, এই ভাইরাসের কারণে সমস্যায় পড়েছেন বৃদ্ধি ও গর্ভাবতী মহিলারা। পাশাপাশি যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদেরও সমস্যা বাড়ছে। তাই সংশ্লিষ্টদের সাবাধানে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, রোগলুর সংক্রমণ কমানোর জন্য শ্বাসযন্ত্র ও হাতের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা জরুরি। প্রয়োজনে মাস্ক পরতে ও বারবার হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তবে যাদের শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা রয়েছে তাদের ভিড় এড়িয়ে ও যোগাযোগ কমিয়ে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি চিঠিতে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অবশ্যই 'COVID-19-এর পরিপ্রেক্ষিতে সংশোধিত নজরদারি কৌশলের জন্য অপারেশনাল নির্দেশিকা' প্রয়োগ করতে হবে যা ILI/SARI-এর ক্ষেত্রে উপস্থাপিত শ্বাসযন্ত্রের রোগজীবাণুগুলির সমন্বিত নজরদারির ব্যবস্থা করের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

Share this article
click me!

Latest Videos

ফের বড়সড় অভিযানে ইডি! একাধিক ঠিকানায় একযোগে ইডির হানা! দেখুন | ED Raid Today
‘পুলিশ না থাকলে তৃণমূলকে কেউ ভয় পেতো না’ মমতাকে ঝাঁঝালো আক্রমণ সুকান্তর! দেখুন কী বললেন | Sukanta M
‘চাকরিপ্রার্থীদের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে মমতা দার্জিলিং পালিয়েছে’ শুভেন্দুর তীব্র আক্রমণ মমতাকে!
'আমি কিছু করিনি, আমায় ফাঁসিয়েছে বিনীত গোয়েল' চিৎকার সঞ্জয় রায়ের | Sanjay Roy | RG Kar Case
‘পশ্চিমবঙ্গের হিন্দুদের ক্ষমতা এবার দেখবে তৃণমূল’ তৃণমূলকে হুঙ্কার শুভেন্দুর! | Suvendu Adhikari