শরীরের জমে থাকা টক্সিন দূর করতে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। এই স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলো থেকে আপনি শরীরের ভিতরের দূষিত পদার্থ পরিষ্কার করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
ডায়েট ঠিকঠাক না হলে জীবন যাত্রার মান উন্নত না হলে শরীরে অনেক ধরনের ময়লা জমতে শুরু করে। যার কারণে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা শুরু হয়। এর মধ্যে রয়েছে স্থূলতা, পেটের সমস্যা এবং উচ্চ রক্তচাপ। এমন পরিস্থিতিতে এসব সমস্যা এড়াতে শরীরকে ডিটক্সিফাই করা খুবই জরুরি। শরীরের জমে থাকা টক্সিন দূর করতে বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণের পরামর্শ দেন। এই স্বাস্থ্যকর খাবারের মধ্যে এমন কিছু পানীয় রয়েছে, যেগুলো থেকে আপনি শরীরের ভিতরের দূষিত পদার্থ পরিষ্কার করার পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
১) পুদিনা ও শসার পানীয়ও উপকার দেয়-
পুদিনা পাতায় অনেক ধরনের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। সামগ্রিকভাবে, এই পানীয়টি জন্য বেশ স্বাস্থ্যকর। তাই পুদিনা এবং শসার পানীয়ও শরীরে জমে থাকা ময়লা পরিষ্কার করে। আসলে, শসাতে ৯০ শতাংশ জল থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এটি আপনাকে দীর্ঘ সময়ের জন্য হাইড্রেটেড রাখে।
২) দারুচিনি এবং মধু পান করুন
দারুচিনি ও মধুর পানীয় শরীরের ময়লা পরিষ্কার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই পানীয়টি শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আসলে, মসুর ডালের চিনিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা শরীরের ময়লা পরিষ্কার করতে সহায়ক। একই সময়ে, মধু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ। এমন পরিস্থিতিতে উভয়ের মিশ্রণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী।
দারুচিনির উপকারিতা-
দেখতে কিছুটা তেজপাতা বৃক্ষের মতো, এই বৃক্ষের চামড়াটা মসলা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। দারুচিনির সুগন্ধ যুক্ত তৈল ও পাওয়া যায়। দারুচিনি নিছক মসলা হিসেবে দারুচিনি বেশি পরিচিত। কিন্তু এই মসলা স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী। তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক...
১) স্মৃতিশক্তি বাড়ায় - নিয়মিত দারুচিনি খান। এতে স্মৃতিশক্তি যে বাড়বে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
২) স্নায়বিক স্বাস্থ্য - রক্তে শর্করার পরিমাণ কমাতে সহায়ক দারুচিনি। এর ফলে প্রদাহ কমে, স্নায়বিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে।
৩) হৃদরোগ প্রতিরোধ - হৃদরোগ প্রতিরোধে দারুচিনি দারুণ সহায়ক। এই মসলা হৃদযন্ত্রের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে। এতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কমে যায় অনেকটাই।
৪) পেট ব্যথা উপশম - এই মসলা অ্যাসিডিটির সমস্যা কমায়। এতে পেটের ব্যথা উপশম হয়। এ ছাড়া রক্তে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের (এলডিএল) মাত্রা কমাতে অনন্য ভূমিকা রাখে দারুচিনি।
৫) ত্বকের যত্নে - দারুচিনি খেলে ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়ে। ব্রণ রোধ করতে দারুণ উপকারী এই মসলা।
৬) অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট - দারুচিনিতে রয়েছে পর্যাপ্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এর ফলে নানা জটিল রোগের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করে এই মসলা।