১২ বছরের সবচেয়ে উষ্ণ বড়দিন কাটিয়েছে বাঙলি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেও রীতিমত ফ্যান চালাতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তবে ঠাণ্ডা পড়লেও প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নানা রকম ব্যবস্থা নেন।
দেশের রাজধানী-সহ অনান্য রাজ্যে প্রচন্ড ঠান্ডা শুরু হয়েছে। কিন্তু বাংলায় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের জেরে গত ২৩ ডিসেম্বর থেকেই ঊর্ধ্বমূখী তাপমাত্রা। ১২ বছরের সবচেয়ে উষ্ণ বড়দিন কাটিয়েছে বাঙলি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহেও রীতিমত ফ্যান চালাতে হচ্ছে শহরবাসীকে। তবে ঠাণ্ডা পড়লেও প্রত্যেকেই নিজ নিজ বাড়িতে ঠাণ্ডা থেকে বাঁচতে নানা রকম ব্যবস্থা নেন।
শীতের হাত থেকে বাঁচতে গরম জিনিস খাওয়া, গরম জলে স্নানের পাশাপাশি গরম কাপড় পরা, ঠান্ডার প্রকোপ এড়াতে নানা রকমের ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু কেউ কেউ এত কিছু করার পরেও ঠান্ডা অনুভব করেন। যতই জামাকাপড় পরুন না কেন, তার পরেও শরীরের কাঁপুনি থামে না। যদি আপনার ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটে তবে এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা করবেন না।
কম-বেশি ঠাণ্ডা লাগার সম্পর্ক আপনার খাদ্যাভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতার সঙ্গে জড়িত। সেজন্য সময় মতো এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া প্রয়োজন। আজ জেনে নিন এমন কিছু জিনিস সম্পর্কে যা আপনাকে এই সমস্যায় সাহায্য করতে পারে।
অন্যদের তুলনায় বেশি ঠান্ডা অনুভব করেন?
বিষয়টিকে হালকাভাবে নিলেও। কিন্তু আপনার শরীরে কোনও ঘাটতির কারণেও এই সমস্যা হয়। কখনও কখনও থাইরয়েডের অবনতি হলে বেশি ঠান্ডা লাগে। এ ছাড়া রক্ত চলাচল কম হওয়ার কারণে শরীরের সব অংশে সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছায় না, এমন পরিস্থিতিতে আপনারও বেশি ঠান্ডা লাগতে পারে। সঠিক ঘুমের অভাবও ঠান্ডা লাগার কারণ হতে পারে। এছাড়াও, আপনি ডিহাইড্রেশনের শিকার হলেও আপনি আরও ঠান্ডা অনুভব করতে পারেন। এমনকি আপনার ওজন আপনার উচ্চতার অনুপাতে কম হলেও আপনি অন্যান্য মানুষের তুলনায় বেশি ঠান্ডা অনুভব করতে পারেন।
আজ থেকে এই অভ্যাস পরিবর্তন করুন
আপনার যদি থাইরয়েড হয় তবে ডাক্তারের সঙ্গে পরীক্ষা করুন। রক্ত পাতলা হওয়ার কারণে অনেক সময় একজনের বেশি ঠান্ডা লাগে। এই জন্য আপনার খাদ্যতালিকায় স্বাস্থ্যকর জিনিস অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন। সবুজ শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ জিনিস খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, তাপমাত্রা খুব কম হলে শরীরের অনেক অংশ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। অনেক সময় মাল্টি-অর্গান ফেইলিউরের কারণে একজন মানুষ মারা যায়। তাই ঘর থেকে বের হওয়া থেকে বিরত থাকুন। ঘরের ভিতরে থাকার চেষ্টা করুন এবং শুধুমাত্র গরম প্রভাব ফেলে এমন জিনিস খান। প্রচণ্ড শীত, এমন পরিস্থিতিতে রাতে খাবারে বিশেষ করে ডিম, হলুদ দুধ ও শুকনো ফল রাখুন।