আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে একজন মানুষ যখন মানসিক চাপে থাকে বা দুঃখ পায়, তখন সেই ব্যক্তি কীভাবে হাসতে পারে বা খুশি থাকতে পারে। হ্যাঁ এরকমও হয়। এটি ঘটে এবং এর নাম স্মাইলিং ডিপ্রেশন।
আমরা প্রায়ই আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মানুষকে দেখি, যাদের সবসময় হাসতে দেখা যায়। এমন মানুষ দেখলে মন বলে 'বাহ! লাইফ হো তো অ্যায়সি', কিন্তু তাদের হাসির পেছনের সত্যিটা খুব কমই কেউ জানে। এদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা হাসিমুখের আড়ালে নিজেদের ভেতরের দুঃখ ও মানসিক চাপ লুকিয়ে রাখেন।
এখন আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন যে একজন মানুষ যখন মানসিক চাপে থাকে বা দুঃখ পায়, তখন সেই ব্যক্তি কীভাবে হাসতে পারে বা খুশি থাকতে পারে। হ্যাঁ এরকমও হয়। এটি ঘটে এবং এর নাম স্মাইলিং ডিপ্রেশন।
বিষণ্নতায় হাসি
প্রত্যেকেরই বোঝা উচিত যে সবাই একইভাবে বিষণ্নতা অনুভব করে না, আসলে কিছু লোক নিজেরাই জানে না যে তারা বিষণ্ণ। হেলথলাইনে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাস্যোজ্জ্বল বিষণ্ণতাও একই ধরনের বিষণ্নতা, যেখানে একজন ব্যক্তি বাইরে থেকে খুশি বা সন্তুষ্ট দেখায়। কিন্তু বাস্তবে তিনি ভেতর থেকে ব্যথা অনুভব করছেন।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, যখন কেউ হাসির আড়ালে তার বিষণ্ণতা লুকিয়ে রাখে, তাকে বলা হয় স্মাইলিং ডিপ্রেশন। যাইহোক, এটি একটি ব্যাপকভাবে স্বীকৃত চিকিৎসা শর্ত নয়, তাই এটি বিশেষ মনোযোগ প্রয়োজন।
হাস্যোজ্জ্বল বিষণ্নতার লক্ষণগুলো কী কী?
সাধারণত, হাসিমুখে বিষণ্ণতার লক্ষণগুলি সনাক্ত করা খুব কঠিন, তবে দীর্ঘায়িত বিষণ্ণতা হতাশার সবচেয়ে বড় লক্ষণ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যেকে ভিন্নভাবে বিষণ্নতা অনুভব করে এবং এর বিভিন্ন উপসর্গ থাকতে পারে।
অলস বা ক্লান্ত বোধ করা
অনিদ্রা
ওজন এবং ক্ষুধা পরিবর্তন
অসহায়ত্ব
কোন কিছুর জন্য কোন ইচ্ছা নেই
কম আত্মসম্মান
হাস্যকর বিষণ্নতার চিকিৎসা কি?
এই পরিস্থিতিতে, প্রথমে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিন, ওষুধের সাহায্যে এবং খাদ্যের সাহায্যে এই ধরনের বিষণ্নতা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অবস্থায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের তাদের আশেপাশের কারও সাথে খোলামেলা করতে হবে, যা এই সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের অনেক সাহায্য করে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।