Health Tips: ডিমের কুসুম খান না? নিজের অজান্তেই নিজেকে বঞ্চিত করছেন এগুলি থেকে

ডিমের কুসুমে শুধুমাত্র যে প্রোটিন থাকে তা নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে খণিজ পদার্থ ও ভিটামিনও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় ডিমের কুসুমে সাত রকম ভিটামিন মজুত থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপাকারী।

 

Saborni Mitra | Published : Mar 14, 2024 5:51 PM IST

ডিম অত্যন্ত উপকারী একটি খাবার। পুষ্টিগুণ অনুযায়ী এটি সুষম খাদ্য। এতে একই সঙ্গে ভিটামিন প্রোটিন থাকে। কিন্তু অনেকেই ডিমের কুসুম বা দিয়ে শুধুমাত্র সাদা অংশটি খান। ডিমের কুসুমে শুধুমাত্র যে প্রোটিন থাকে তা নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে খণিজ পদার্থ ও ভিটামিনও রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের কথায় ডিমের কুসুমে সাত রকম ভিটামিন মজুত থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য উপাকারী।

ভিটামিন এ:

ডিমের কুসুম ভিটামিন এ সমৃদ্ধ। চোখ ভাল রাখতে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য এটি জরুরি। স্বাস্থ্যকর ত্বকের টিস্যু রক্ষণাবেক্ষণে সহায়তা করে এবং বিশেষ করে কম আলোর অবস্থায় ভালো দৃষ্টিশক্তির প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

ভিটামিন ডি

এটিকে সানসাইন ভিটামিন বলা হয়েছে সূর্যের আলোতে থাকে। কিন্তু ডিমের কুসুমেও বর্তমান। শক্তিশালী হাড়ের জন্য জরুরি। ভিটামিন ডি এর পর্যাপ্ত মাত্রা ক্যালসিয়াম শোষণ এবং হাড়ের খনিজকরণ করতে পারে।

ভিটামি ই

ডিমের কুসুম ভিটামিন ই-এর একটি ভালো উৎস, একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি কোষকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

ভিটামিন বি ১২

স্নায়ুর কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। লাল রক্তকোষ গঠনে সাহায্য করে। সুষমখাদ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস এটি।

ভিটামিন কে

ডিমের কুসুমে ভিটামিন কে থাকে, যা রক্ত জমাট বাঁধা, হাড়ের স্বাস্থ্য এবং হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন কে রক্ত ​​সঠিকভাবে জমাট বাঁধতে পারে তা নিশ্চিত করতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, আঘাতের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত রক্তপাত প্রতিরোধ করে। উপরন্তু, ভিটামিন কে হাড়ের বিপাকের সাথে জড়িত, শক্তিশালী এবং সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি ২

রিবোফ্লাভিন, বা ভিটামিন বি ২, শক্তি উত্পাদন, বিপাক এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং চোখের রক্ষণাবেক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ। ডিমের কুসুম রাইবোফ্লাভিনের একটি ভালো উৎস, যা একটি অপরিহার্য পুষ্টি সরবরাহ করে।

ভিটামিন বি ৯

ফোলেট, ভিটামিন বি ৯ নামেও পরিচিত, ডিএনএ সংশ্লেষণ, কোষ বিভাজন এবং লোহিত রক্তকণিকা গঠনের জন্য অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ফোলেট গ্রহণ গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের বিকাশে সহায়তা করতে এবং নিউরাল টিউব ত্রুটি প্রতিরোধ করতে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

 

Share this article
click me!