খারাপ জল চুলের প্রকৃতিকে খারাপ করে দেয়, চুলকে অপুষ্ট করে তোলে এবং চুলের গোড়া মারাত্মক দুর্বল করে দেয়। যার ফলে মাথায় খুব তাড়াতাড়ি টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
খুব বৃষ্টির সময় বাতাসে জলীয় বাষ্প বেশি থাকার কারণে তার প্রভাবে চুলের গোড়া নরম আর আলগা হয়ে যায়, ওই সময় খুব সহজেই প্রচুর চুল ঝরে যেতে থাকে। কিন্তু, বৃষ্টির মরশুম বাদ দিলে অন্যান্য মরশুমেও যদি ব্যাপক পরিমাণে আপনার চুল পড়তে থাকে, তাহলে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। সতর্কতা হিসেবে আপনি প্রথমেই নজর দিন আপনার স্নানের জলে। মাথা ধোয়ার জল যদি অপরিষ্কার বা ‘হার্ড’ হয়ে থাকে, তাহলে তার প্রভাবে সারা বছর চুল পড়তে থাকবে।
যে জলে খনিজ পদার্থের পরিমাণ বেশি যেমন ক্যালশিয়াম, আয়রন বা ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে, তাকে ‘হার্ড’ জল বলা হয়। এই জল চুলের প্রকৃতিকে খারাপ করে দেয়, চুলকে অপুষ্ট করে তোলে এবং চুলের গোড়া মারাত্মক দুর্বল করে দেয়। কোমল ও মসৃণ চুল রুক্ষ আর শুকনো হয়ে ওঠে এবং গোড়া থেকে সমূলে উঠে যেতে থাকে। যার ফলে মাথায় খুব তাড়াতাড়ি টাক পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়।
জায়গা বিশেষে জলের প্রকৃতি বদল হয়। কোনও কোনও জায়গার জল দূষিত হয়। অবশ্যই সেই জো দিয়ে চুল ধুলে সমস্যা দূর করা সম্ভব নয়। তাই দূষণ রোধ করার জন্য জলের কলে বিশেষ ওয়াটার ফিল্টার অবথা ওয়াটার সফটনার লাগাতে পারেন। এই যন্ত্রগুলি জল থেকে দূষিত বা খনিজ পদার্থ বাদ দিয়ে পরিশ্রুত জল পেতে সাহায্য করে। স্নান করার শাওয়ারেও ফিল্টার লাগাতে পারেন, সেই জল মাথায় পড়লে তার দ্বারা চুলের ক্ষতি এড়ানো যাবে।
যদি, ফিল্টার বা সফটনার লাগিয়েও জলের আয়রন বা ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম দূর করা সম্ভব না হয়ে থাকে, তাহলে পরিশ্রুত জল কিনে তা দিয়ে মাথা ধুতে পারেন। আর, যদি কেউ নিয়মিত সাঁতার কেটে থাকেন, তাহলে অবশ্যই জলে নামার আগে মাথায় শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। সুইমিং পুলের জলে অধিক পরিমাণে ক্লোরিন থাকে, যা চুলকে নষ্ট করে দিতে পারে। এর দ্বারা চুলের গোড়া আলগা হয়ে যায়। সুইমিং পুলে সবসময় শাওয়ার ক্যাপ পরে নামা উচিত। সমুদ্রে স্নান শাওয়ার ক্যাপ পরুন। সাঁতার কাটার পর পরিষ্কার জলে স্নান করে নিলে ত্বক ও চুল, দুইই ভালো থাকে।