পেঁয়াজ কেটে দীর্ঘক্ষণ রেখে দেওয়ার পর রান্নায় ব্যবহার করেন? স্বাস্থ্যের কী ক্ষতি করছেন জানেন
‘পেঁয়াজ যা উপকার করে, মা-ও করে না’ - এই প্রবাদ বাক্যটি আমাদের সবারই জানা। পেঁয়াজের স্বাস্থ্য উপকারিতা তো অনেকই। প্রায় প্রতিটি রান্নাতেই ব্যবহৃত পেঁয়াজের নানাবিধ গুণাগুণ রয়েছে। তবে, কাটা পেঁয়াজ দীর্ঘক্ষণ রাখলে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
Soumya Gangully | Published : Jan 4, 2025 3:20 AM / Updated: Jan 04 2025, 03:49 AM IST
পেঁয়াজ খেলে মুখ থেকে গন্ধ ছাড়ে বটে কিন্তু এর অনেক উপকারও পাওয়া যায়
পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাঘর অচল। প্রায় প্রতিটি রান্নাতেই পেঁয়াজ ব্যবহার করা হয়। পেঁয়াজে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, কারমিনেটিভ ধর্ম রয়েছে। এগুলি স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। পেঁয়াজ রক্ত শুদ্ধ করে। পেঁয়াজের রস মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খেলে জ্বর, সর্দি, কাশি, গলা ব্যথা তাড়াতাড়ি সেরে যায়।
পেঁয়াজের অনেক উপকার থাকলেও, কাটার পর দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা একেবারেই উচিত নয়
অনেকেই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পেঁয়াজ কেটে রেখে দেন। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই এমনটা দেখা যায়। রাতে কাটা পেঁয়াজ সকালে বা সকালে কাটা পেঁয়াজ বিকেলে ব্যবহার করা হয়। তবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয় বলে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন।
পেঁয়াজ কাটার পর দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখলে শরীরের নানা ধরনের ক্ষতি হতে পারে
কাটা পেঁয়াজ বাতাসের ব্যাকটেরিয়া দ্রুত শোষণ করে। এমন পেঁয়াজ খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে এটি ফুড পয়জনিং-এর কারণও হতে পারে। কাটা পেঁয়াজ দেরিতে খেলে বমি, ডায়রিয়া, মাথাব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে।
পেঁয়াজ কাটার পর বাইরে সাধারণ অবস্থায় তো বটেই, এমনকী ফ্রিজেও রাখা উচিত নয়
কাটা পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখাও ভালো নয়। এতে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ বাড়তে পারে। শুধু পেঁয়াজ নষ্টই হয় না, ফ্রিজের অন্যান্য জিনিসের উপরেও প্রভাব ফেলে। পেঁয়াজ ফ্রিজে রাখলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, যা অন্যান্য খাবারেও ছড়িয়ে পড়ে। ফলে খাবারের স্বাদ নষ্ট হয়।
যতটা সম্ভব পেঁয়াজ কাটার পরপরই ব্যবহার করুন। তা সম্ভব না হলে, বিশেষ পদ্ধতিতে সংরক্ষণ করতে পারেন। বাতাস চলাচল করে না এমন বাক্সে ঢাকনা দিয়ে রাখুন। জিপ কভারেও রাখতে পারেন। বাতাস লাগলে পেঁয়াজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়। ব্যবহার না করা পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে পেস্ট আকারে রাখতে পারেন।
বিঃদ্রঃ উপরের তথ্যগুলি কেবল প্রাথমিক তথ্য। স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।