eggs every day: রোজ ডিম খেলে কতটা বাড়ছে কোলেস্টেরল? কী বলছে আধুনিক গবেষণা?

Latest Videos

ডিমে কোলেস্টেরল বাড়ে, এই ধারণা নতুন নয়। এক জন সুস্থ ব্যক্তি খাবারের মাধ্যমে মোটামুটি দৈনিক ৩০০ মিলিগ্রাম কোলেস্টেরল নিতে পারেন।

কাজেই রোজ একটি করে ডিম খেলে বিশেষ অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অনেক চিকিৎসক এবং পুষ্টিবিদেরাই বলছেন, ডিম আদতে শরীরে ‘ভাল কোলেস্টেরলে’রই জোগান দেয়। খারাপ কোলেস্টেরল বা এলডিএল তৈরি হয় প্রক্রিয়াজাত খাবার, ট্রান্স ফ্যাট এবং অতিরিক্ত চিনি থেকে।

ডিম খেলে কোলেস্টেরল সত্যিই বাড়ে কি না তা নিজের উপর পরীক্ষা করে দেখেছিলেন চিকিৎসক এবং এন্ডোক্রোনোলজিস্ট দীপ দত্ত। কী ভাবে এই পরীক্ষা করা হয় বিস্তারিত রইল:

টানা দেড় বছর ধরে চিকিৎসক প্রতি দিন ৪টি করে গোটা ডিম খেয়ে গেছেন। হিসাব করলে সপ্তাহে আঠাশটি। ১৮ মাস পরে নিজেই নিজের লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষা করেন তিনি।

পরীক্ষার ফল কিছুটা এরকম : দেড় বছর ধরে রোজ ৪টে করে ডিম খেয়েও আবার কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডে কোনও প্রভাব পড়েনি। উল্টে ‘ভাল কোলেস্টেরল’ বা এইচডিএল বেড়ছে। এমনকি ডিম খেয়ে কমেছিল ওজনও।

তবে ডিম খাওয়ার পাশাপাশি তিনি খাদ্যাভ্যাসে এবং জীবন যাপনে কিছু পরিবর্তন এনেছিলেন। গত দেড় বছরে ১২ কেজি ওজন ঝরেছে তার। শেষের ৯ মাস ধরে ডিম খাওয়ার পাশাপাশি সারা দিনের খাদ্যাভ্যাস বদলে মূলত স্যালাড খেয়েছিলেন। প্রতি দিন অন্তত ৩-৫ কিলোমিটার হেঁটেছেন।

চিকিৎসকের নিজের ওপর পরীক্ষার পরে এ ব্যাপারে সন্দেহের আর কোনও অবকাশ নেই যে, ডিমে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেশি থাকে, প্রতিটি কুসুমে প্রায় ১৮৬ মিলিগ্রাম।

কিন্তু বিভিন্ন গবেষণা বলছে, প্রাণিজ খাবার থেকে যে ‘ডায়েটারি কোলেস্টেরল’ শরীরে যায়, তা রক্তের কোলেস্টেরলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় একটা তফাত ঘটায় না। লিভার কোলেস্টেরল তৈরি করে। তবে যখন শরীর খাবার থেকে কোলেস্টেরল পায়, তখন লিভার কম কোলেস্টেরল তৈরি করে।

বিভিন্ন গবেষণায় এ-ও দেখা গিয়েছে যে, নিয়মিত ডিম খাওয়ার পরে ৭০ শতাংশ মানুষের কোলেস্টেরল বাড়েনি। বাকি ৩০ শতাংশের মধ্যে যাঁদের কোলেস্টেরল বেড়েছে, তাদের ক্ষেত্রেও বৃদ্ধির মাত্রা খুব বেশি নয়। আর তা হার্টের স্বাস্থ্যেও কোনও খারাপ প্রভাব ফেলেনি।

ডিম খাওয়া কি কোলেস্টেরল এবং হৃদরোগ বাড়ায়?

কয়েক হাজার লোককে নিয়ে একাধিক পর্যবেক্ষণমূলক গবেষণার ধারাবাহিকভাবে দেখা যায়, গোটা ডিম খাওয়া হৃদরোগের ঝুঁকি বৃদ্ধির সাথে সংযুক্ত নয়। কিছু গবেষণায় এও দেখা গেছে যে ডিম খাওয়া স্ট্রোকের ঝুঁকির সম্ভাব্না হ্রাস নির্দেশ করে। টাইপ ২ ডায়াবেটিস যারা বেশি পরিমাণে ডিম খান তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।

টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে তিন মাস ধরে প্রতিদিন দুটি ডিম, সপ্তাহে ছয় দিন খাওয়া রক্তের লিপিডের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তন করে না।