একেবারে আইঢাই ভাব।
বেশ গুরুপাক খাওয়াদাওয়া করেই ঘরে গিয়ে কি বিছানায় শুয়ে পড়েন? কিন্তু চোখ বোজার কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয়ে যায় অস্বস্তি।
হটাৎ করে রাতে এমন অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হলে ঠিক কী করবেন আপনি? এই ধরনের গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়েল হল রিফ্লাক্স ডিজ়িজ় বা জিইআরডি। এটি এক ধরনের ক্রনিক রোগ। অর্থাৎ, এমন অসুখ, যা বারবার ফিরে আসে।
চিকিৎসকদের মতে, “জিইআরডির সমস্যা তখনই হয়, যখন পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড শারীরিক গোলযোগের কারণে খাদ্যনালিতে উঠে আসে। সেটা যখনই হয়, তখনই গলা-বুক জ্বালা, তিক্ত অম্ল স্বাদের জল মুখে উঠে আসা, চোঁয়া ঢেকুর, বুকে ব্যথা এবং গলার কাছে কিছু আটকে থাকার মতো অনুভূতি হতে থাকে।”
চিকিৎসক সোলাঙ্কি বলছেন, জিইআর়ডি হওয়ার মূল কারণটি হল লোয়ার ইসোফিজিয়াল স্পিংটারের কাজে গলদ। লোয়ার ইসোফিজিয়াল স্পিংটার বা এলইএস আসলে পাকস্থলী আর খাদ্যনালির সংযোগস্থলে আংটির মতো দেখতে একটি পেশি।
যা খাবার খাওয়ার সময় কিংবা জল পান করার সময় শিথিল হয়ে তা পাকস্থলীতে যেতে দেয়। অবশ্য অন্য সময়, সংকুচিত থেকে পাকস্থলীর মুখ বন্ধ রেখে দেয়। চিকিৎসকদের মতে, মুশকিল হয় তখন। যখন ওই প্রবেশ পথটি যথা সময়ে বন্ধ হয় না। তখনই পাকস্থলীতে থাকা অ্যাসিড বাইরে আসার সুযোগ পায় এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
বিশেষ করে, রাতে শুয়ে থাকার সময় খোলা পথ দিয়ে অ্যাসিড বাইরে বেরিয়ে আসে আরও বেশি পরিমাণে। তাই ঘুমানোর সময়, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা যাতে না হয়, তার জন্য সাবধান হতে হবে রাতের খাবার খাওয়ার আগে থেকেই। সেইসঙ্গে, জীবনযাপনে বদল আনার পরামর্শও দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা।
মূলত, চারটি বিষয়ে নজর দেওয়া জরুরি।
১) গভীর রাতে খাওয়ার অভ্যাস ছাড়া উচিত। তিনি বলছেন, বিছানায় শোয়ার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত।
২) অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা থাকলে ঘুমোনোর সময় বালিশে পিঠ দিয়ে এবং বিছানা থেকে অন্তত ৬-৮ ইঞ্চি উঁচুতে মাথা রেখে ঘুমোন। তাতে পাকস্থলী থেকে খাদ্যনালি বেয়ে অ্যাসিড উঠে আসার সমস্যা কিছুটা কমবে।
৩) বাঁদিক ফিরে ঘুমালে খাদ্যনালীর উপর চাপ কম তৈরি হয়। এটা করলে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কিছুটা কমানো সম্ভব।
৪) বাজারে পাওয়া অ্যান্টাসিডও সাময়িক স্বস্তি দিতে পারে। তবে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া জরুরি।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।