মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পরীক্ষা না করেই খেয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এতে কতটা সমস্যা দেখা দেয় -তাই জেনে নিন।
দিনে দিনে দাম চড়ছে ওষুধের। অনেক সময়ই কিছু ওষুধ করে থেকে যায়। কিন্তু সেগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও কি ব্যবহার করা যায় বা ব্যবহার করতে কি হয়? এই প্রশ্ন বারবার উঠতে থাকে। আবার অনেক সময় এমনটাও হয় যে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ পরীক্ষা না করেই খেয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এতে কতটা সমস্যা দেখা দেয় -তাই জেনে নিন।
বিশেষজ্ঞদের মত অনুযায়ী মাত্র এক মাসের মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধে সেবন করাই যায়। এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ক্ষতিকর নয়। কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সেবন না করাই শ্রেয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক কেন ওষুধের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ থাকে এবং আপনি ভুলবশত মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করলে কী হতে পারে।
মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের অর্থ: ওষুধে দেওয়া মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ নির্দেশ করে যে এই তারিখ পর্যন্ত ওষুধটি সম্পূর্ণ কার্যকর এবং নিরাপদ। এই তারিখের পরে, কোম্পানি ওষুধের কার্যকারিতা বা নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেয় না।
ওষুধ নষ্ট হতে পারে: বেশিরভাগ ওষুধ সময়ের শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই কার্যকারিতা হারায়।
প্রতিটি ওষুধের জন্য আলাদা নিয়ম: যদিও কিছু ওষুধ মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও কিছু সময় স্থায়ী হতে পারে তবে এটি ওষুধের ধরন এবং সংরক্ষণের জায়গার উপর নির্ভর করে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি: মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ সেবন করলে বমি বমি ভাব, অ্যালার্জি বা শরীরের অঙ্গগুলির ক্ষতির মতো সমস্যা হতে পারে।
আপনি যদি ভুলবশত মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খেয়ে থাকেন
আতঙ্কিত হবেন না, অবশ্যই একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন। তারা আপনার অবস্থা এবং ওষুধের ধরণের উপর ভিত্তি করে পরামর্শ দিতে পারে।
ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলো সঠিকভাবে ফেলে দিন।
সঠিকভাবে ওষুধ রাখুন
- ওষুধ কেনার পর নিরাপদে রাখুন। এটি কীভাবে সংরক্ষণ করবেন তার নির্দেশাবলীর জন্য ওষুধের লেবেলটি পরীক্ষা করতে ভুলবেন না।
- কিছু ওষুধ ফ্রিজে রাখতে হবে, আবার কিছু ঠান্ডা ও অন্ধকার জায়গায় রাখতে হবে। সঠিকভাবে ওষুধ সংরক্ষণ করলে তাদের প্রভাব বজায় থাকে।