আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ওজন কমানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি জয়েন্টে কম চাপ দেয় এবং ব্যথা এবং প্রদাহ কমায়। আপনি যদি আপনার ওজনের ১০ শতাংশও কমাতে পারেন তবে এটি আপনার বাতের উপসর্গ কমিয়ে দেবে।
বয়সের সাথে সাথে ঘাড়, পিঠে ব্যাথা। উঠে বসলেও হাঁটুতে ব্যথা। অনেকে একে বাতের ব্যথা বলে থাকেন। চিকিৎসার ভাষায় এই রোগকে বাত বলে। শুধু আপনার হাঁটু বা নিতম্ব নয়, বাতের ব্যথার কারণে আপনার আঙ্গুলও বাঁকা হতে পারে। যদি আপনি জয়েন্টের ব্যথায় বেশি ভোগেন, তাহলে ওজন কমাতে শুরু করুন। আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ওজন কমানো গুরুত্বপূর্ণ। এটি জয়েন্টে কম চাপ দেয় এবং ব্যথা এবং প্রদাহ কমায়। আপনি যদি আপনার ওজনের ১০ শতাংশও কমাতে পারেন তবে এটি আপনার বাতের উপসর্গ কমিয়ে দেবে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে বাতের সমস্যা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। এসব মারণ রোগ এড়াতে ওজন কমানোও জরুরি। চলুন জেনে নেওয়া যাক বাতের সমস্যায় ওজন ঠিক রাখা কতটা জরুরি।
১) ব্যথা এবং চাপ কমায়
আপনার শরীরের ওজনের মাত্র ১০ শতাংশ কমালে, আপনার বাতের ব্যথার অর্ধেকের বেশি থেকে রেহাই পেতে পারেন। আপনি যত বেশি ওজন কমাবেন, তত কম ব্যথা অনুভব করবেন। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে অস্টিওআর্থারাইটিস রোগী যারা সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে ওজন কমায় তারাও কম হাঁটু ব্যথা অনুভব করে।
২) গাঁটের কার্যকারিতা উন্নত হয়
ওজন হ্রাস আপনার জয়েন্টগুলির কার্যকারিতাও উন্নত করে। চিকিৎসকদের মতে, ধীরে বা দ্রুত হাঁটা আপনার গোড়ালির ব্যথা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।
৩) প্রদাহ কমায়
প্রদাহ বিভিন্ন অটোইমিউন রোগের কারণ হতে পারে যেমন রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস। এগুলি সাধারণ ব্যথার চেয়ে বেশি বেদনাদায়ক। ওজন কমলে শরীরের চর্বি গলতে শুরু করে, যা প্রদাহ এবং বাতের ব্যথা কমায়।
৪) দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমে
গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসে ভুগছেন তাদের কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি। এই দুটি দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি এড়াতে আপনার ওজন কমাতে হবে। একটি নিয়ন্ত্রিত ওজন রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। যার কারণে দুরারোগ্য রোগের ঝুঁকিও কমে।
৫) অস্ত্রোপচার এড়ানো যায়
হাঁটুতে আর্থ্রাইটিসে ব্যথা বাড়লে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হয় না। তাহলে হাঁটুর ব্যথা নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। আর যদি অস্ত্রোপচার করা হয় এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে দ্রুত সেরে ওঠে।