চিকিৎসার খরচ দিন দিন বাড়ছে। একবার বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে ভর্তি হলেই বিপুল খরচের ধাক্কা সামাল দিতে হয়। সেই কারণে অনেকেই মেডিক্লেইম বা স্বাস্থ্য বিমা করে রাখেন।
স্বাস্থ্য বিমা করার সময় অনেকেই ভুল করেন। মেডিক্লেইম ও স্বাস্থ্য বিমার মধ্যে কী পার্থক্য, সেটা অনেকেরই জানা নেই। মেডিক্লেইম ও স্বাস্থ্য বিমা যে এক নয়, সেটা অনেকেরই জানা নেই। ফলে প্রয়োজনের সময় সমস্যায় পড়তে হয়। সেই কারণে যে কোনও ধরনের স্বাস্থ্য বিমা করার আগে ভালো করে খোঁজ নেওয়া উচিত। তাহলে চিকিৎসা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় না। মেডিক্লেইম পলিসির ক্ষেত্রে প্রিমিয়ামের খরচ তুলনামূলকভাবে কম। জরুরি চিকিৎসার ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকর হয় মেডিক্লেইম। তবে মেডিক্লেইম ইনস্যুরেন্স কভারেজের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। দুর্ঘটনা, হঠাৎ অসুস্থতা বা অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রে কাজে লাগে মেডিক্লেইম। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের সময় সুবিধা পাওয়া যায়। বেশিরভাগ সময়ই হাসপাতালে ভর্তি হলে এবং অস্ত্রোপচার করাতে হলে যে খরচ হয়, তার চেয়ে বেশি টাকাই বিমার আওতায় থাকে। যাঁরা স্বাস্থ্য বিমা করেন, হয় প্রথমে তাঁদের যাবতীয় খরচ দিতে হয়, পরে সেই টাকা পাওয়া যায়, অথবা বিমা সংস্থাই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যাবতীয় খরচ মেটায়। তাঁকে হাসপাতালে কোনও খরচই দিতে হয় না। মেডিক্লেইমের তুলনায় স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে প্রিমিয়াম বেশি।
স্বাস্থ্য বিমা ও মেডিক্লেইম শুনতে একরকম মনে হলেও, যে পার্থক্যগুলি আছে, সেগুলি বুঝে নেওয়া ভালো। সবদিক বিচার করেই স্বাস্থ্য বিমা বা মেডিক্লেইম পলিসি করা উচিত। মেডিক্লেইম পলিসিতে শুধু হাসপাতালে ভর্তি হলে তবেই চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ পাওয়া যায়। দুর্ঘটনা বা কোনও অসুখের চিকিৎসার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। সেখানে স্বাস্থ্য বিমা করা থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাড়াও সবরকম চিকিৎসার খরচ পাওয়া যায়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে-পরে চিকিৎসা, হাসপাতালের যাবতীয় খরচ, অ্যাম্বুল্যান্সের খরচ, নিয়মিত স্বাস্থ্যপরীক্ষা, হাসপাতালের বহির্বিভাগের খরচ, নানা শারীরিক পরীক্ষার খরচও স্বাস্থ্য বিমার আওতায় থাকে। মেডিক্লেইম পলিসির আওতার বাইরের কোনও খরচচ পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্য বিমার ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা, সন্তানের জন্ম দেওয়া-সহ নানা অতিরিক্ত চিকিৎসা সংক্রান্ত খরচ যুক্ত করা যায়। মেডিক্লেইমের ক্ষেত্রে সঙ্কটজনক রোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত সুবিধা পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যবিমার আওতায় ক্যান্সার, স্ট্রোকের মতো চিকিৎসার খরচ পাওয়া যায়।
আর্থিক অবস্থা, নিজের ও পরিবারের সদস্যদের শারীরিক অবস্থা, দীর্ঘমেয়াদী বা স্বল্পমেয়াদী পরিকল্পনা, বিমার আওতায় কোন খরচ থাকবে, অতিরিক্ত সুবিধা প্রয়োজন কি না, সবকিছু বিবেচনা করেই স্বাস্থ্য বিমা বা মেডিক্লেইম করা উচিত।
আরও পড়ুন-
২০৫০ সালের মধ্যে একশো কোটি মানুষ অস্টিওআর্থারাইটিস রোগে আক্রান্ত হবে! সতর্ক করছে এই সমীক্ষা
ছাড়িয়ে নয়-খোসা সমেত খেয়ে নিন এই কয়েকটি সবজি, মিলবে দারুণ পুষ্টিগুণ
ফরাক্কা ব্যারেজের রেলিং ভেঙে চলন্ত মালগাড়িকে ধাক্কা পন্যবাহী লরির! দেখুন