অনেক সময় দেখা যায় অনিদ্রা রোগকে আমরাই আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসি। সেক্ষত্রে অনেক সময় আমরাই দায়ী।অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রইল সহজ কিছু টিপস।
ঘুম হল সবথেকে আরামদায়ক। কিন্তু ঘুম যেমন বেশি ভাল নয়, তেমনই পরিমিত ঘুম না হলে নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বর্তমান ব্যস্ত সময় অনিদ্রা হল একটি গুরুতর রোগ। এই রোগ আবার নানা ধরনের রোগের উৎস। তবে অনেক সময় দেখা যায় অনিদ্রা রোগকে আমরাই আমন্ত্রণ জানিয়ে নিয়ে আসি। সেক্ষত্রে অনেক সময় আমরাই দায়ী। পূর্ণ বয়স্ক একজন ব্যক্তির ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর শিশুদের ১০ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। কিন্তু এই সময় অনেকেই অনিদ্রায় ভোগে। আর এই অনিদ্রা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য রইল সহজ কিছু টিপস। যা অবশ্যই অনিদ্রা রোগের কারণও হতে পারে অনেক ক্ষেত্রে।
১. মোবাইল ফোন
স্মার্ট ফোনের স্ক্রিনে দীর্ঘ সময় চোখ রাখার কারণে
ঘুমের সমস্যা তৈরি হয়। তার কারণ হলে মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন কমে যায়। এটি মোবাইল ফোনের নীল স্ক্রিনের সংস্পর্শে আসা মাত্রই ঘুম কমিয়ে দিতে পারে। তাই ঘুমাতে যাওয়ার মাত্র আধঘণ্টা আগে মোবাইলফোন দেখা বন্ধ করলে ঘুম দারুন হবে।
২. অ্যালকোহল-নিকোটিন
অনিদ্রার অপর একটি কারণ হল অ্যালকোহল, নিকোটিন, ক্যাফিন জাতীয় পদার্থ ঘুমের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়। ক্যাফেইন মস্তিষ্ক সজাগ রাখতে পারে। ঘুমের আগে চা, কফি, অ্যালকোহল, নিকোটিনযুক্ত পদার্থ এড়িয়ে চলুন। এগুলি নিদ্রায় ব্যাঘাত ঘটায়।
৩. প্রচুর খাবার
রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত খাবার খাবেন না। তাতে হজমের সমস্যা তৈরি হয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে সর্বদা হালকা খাবার খান। তাহলে ক্লান্ত শরীরে ঘুম তাড়াতাড়ি আসবে। রাতে রিচ বা মশলাদার খাবারও এড়িয়ে চলুন। তবে একগ্লাস ঠান্ডা দুধ ঘুমের জন্য উপকারী।
৪. দিনের বেলায় ঘুম
দিনের বেলায় ভুলেও ঘুমাবেন না। এটি রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। দিনের বেলা অতিরিক্ত ঘুম অস্বাস্থ্যকর স্বাস্থ্যের প্রতীক। ছুটির দিনে দুপুরে একটু গড়িয়ে নিতে পারেন। কিন্তু লম্বা ঘুম কখনই নয়। তবে বাঙালিদের মধ্যে দিবানিদ্রার চল রয়েছে। এটি খুবই অস্বাস্থ্যকর বলেও মনে করেন চিকিৎসকরা।
বর্তমান সময় ঘুম আসাটাই একটা সমস্যার । মানুষের মধ্যে প্রচুর টেশন থাকে। দিনভর প্রচুর ব্যস্ততাও অনেক সময় কম ঘুমের জন্য দায়ী। আর এগুলি থেকে বাঁচতে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার স্নান করতেই পারে। শোয়ার ঘরে হালকা সুগন্ধী , মৃদু সঙ্গীত কিন্তু ঘুমের পরিবেশ তৈরি করে দেয়। সর্বদাই চেষ্টা করুন নিজের বিছানায় শোয়ার।