অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকার অভ্যাস? জেনে নিন এর ফল ঠিক কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে

রাত জেগে থাকার ফলে মানসিক চাপ, বিপাকীয় সমস্যা, উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আজকাল অনেকেই রাত জেগে থাকার অভ্যাস করে ফেলেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটি দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রতিদিন খুব দেরিতে ঘুমানো শুধু মানসিক চাপ এবং বিপাকীয় সমস্যাই নয়, বরং উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং বাইপোলার ডিসঅর্ডারের মতো বিভিন্ন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার সাথেও সম্পর্কিত।

দেরিতে ঘুমালে ঘুমের সময় প্রাকৃতিক মেরামত প্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা এবং দেরিতে ঘুমানোর ফলে আয়ুও কমে যেতে পারে।

Latest Videos

আপনার সম্মুখীন হতে পারে এমন দীর্ঘমেয়াদী সমস্যাগুলি কী কী?

বিকৃত সার্কাডিয়ান ছন্দ: নিয়মিত রাত জেগে থাকলে শরীরের স্বাভাবিক সার্কাডিয়ান ছন্দ ব্যাহত হয়, যা হরমোন নিঃসরণ, বিপাক এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলিকে প্রভাবিত করে।

দুর্বল জ্ঞানীয় কার্যকারিতা: দীর্ঘ রাত জেগে থাকলে জ্ঞানীয় কার্যকারিতা ব্যাহত হতে পারে, যার ফলে মনোযোগ, স্মৃতিশক্তি এবং সামগ্রিক মানসিক সচেতনতার সমস্যা দেখা দেয়।

বর্ধিত স্ট্রেস হরমোন: দেরিতে ঘুমালে কর্টিসলের মতো স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা মানসিক চাপ, উদ্বেগ এবং ওজন বৃদ্ধিতে অবদান রাখে।
দুর্বল প্রতিরোধ ব্যবস্থা: দীর্ঘস্থায়ী অনিদ্রা প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে, যার ফলে শরীর বিভিন্ন রোগ এবং সংক্রমণের প্রতি আরও সংবেদনশীল হয়ে পড়ে।

বিপাকীয় প্রভাব: রাত জেগে থাকলে শরীরের বিপাক ব্যাহত হয়, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ইনসুলিন প্রতিরোধ এবং বিপাকীয় ব্যাধির ঝুঁকি বেড়ে যায়।
দেরিতে ঘুমালে দিনের বেলা সূর্যের আলোর প্রতি কম সময় ধরে থাকা যায়, যা সামগ্রিক মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে, যার ফলে মনোযোগের সমস্যা এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হয়, এবং শিক্ষণ ব্যাহত হয়।

কীভাবে এই সমস্যাগুলি সমাধান করবেন?

নিয়মিত ঘুমের রুটিন তৈরি করুন: শরীরের অভ্যন্তরীণ ঘড়ি নিয়ন্ত্রণ করতে, প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমাতে যান এবং উঠুন, সপ্তাহান্তেও এই রুটিন মেনে চলুন।

রিলাক্স করার অভ্যাস গড়ে তুলুন: ঘুমানোর আগে, বই পড়া, হালকা ব্যায়াম বা ধ্যান করার মতো শান্ত কিছ করুন।

স্ক্রিনের সময় সীমিত করুন: ঘুমানোর এক ঘন্টা আগে স্ক্রিন যুক্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার কম করুন, কারণ নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদন ব্যাহত করে।

সচেতন খাদ্যাভ্যাস: রাতের খাবারের বিষয়ে সতর্ক থাকুন, হালকা এবং সহজপাচ্য খাবার বেছে নিন। ভালো ঘুমের জন্য, ঘুমানোর আগে ভারী খাবার পরিহার করুন।

ভালো ঘুমের প্রাধান্য দিন: আরামদায়ক গদি, উপযুক্ত বালিশ এবং অন্ধকার, শান্ত ঘর সহ আপনার ঘুমানোর পরিবেশ বিশ্রামের জন্য উপযুক্ত কিনা তা নিশ্চিত করুন। একটি শান্তিপূর্ণ ঘুমের আশ্রয়স্থল তৈরি করুন।

আমাদের রাতের রুটিনে সচেতন ঘুমের অভ্যাস অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে, আমরা আমাদের ঘুমকে একটি প্রশান্তিদায়ক এবং স্বাস্থ্যকর অভিজ্ঞতায় পরিণত করতে পারি।

Share this article
click me!

Latest Videos

মাঝরাস্তায় যুবককে উত্তমমধ্যম যুবতীর! কারণ জানলে অবাক হবেন আপনিও, চাঞ্চল্য Konnagar-এ | Hooghly News
টানা দু'দিন এলাকা কাঁপিয়ে জঙ্গলে ফিরে গেল বাঘ! দেখুন সেই দৃশ্য | Kultali Tiger Update | Bangla News
নতুন বর্ষ এইভাবে শুরু করলেন Sumona Chakravarti! দেখুন #shorts #shortsvideo #shortsviral #shortsfeed
টাকা নিয়ে বিবাদের জেরে নিজের মাকেই আক্রমণ ছেলের! পার পেলো না ভাইও চাঞ্চল্য Baruipur-এ
বন্ধুর নাম করে ডেকে এনেছিল গৃহবধূকে, তারপরে যা ঘটল! বিরাট সাজা দিল আদালত | Krishnanagar News |