ওজন কমাতে কিটো ডায়েট করছেন? ডায়েটিং-এর সময় মাথায় রাখুন এই বিশেষ কয়টি টিপস
ওজন কমাতে সকলেই ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতি মেনে চলেন। কেউ ব্যায়ামে মন দেন, তো কেউ আবার ডায়েটিং করেন। ওজন কমাতে অনেকেই কিটো ডায়েট করে থাকেন। এবার কিটো ডায়েট করতে মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
স্ট্রেস রাখুন নিয়ন্ত্রণে। স্ট্রেস হরমোন কর্টিসল শরীরের রক্ত শর্করার মাত্রা বাড়ায়। কিটো ডায়েট করার সময় রোজ মেডিটেশন করুন। এতে মানসিক স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখলে শরীর থাকবে সুস্থ। কিটো ডায়েট করার সময় মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
ঘুমকে প্রাধান্য দিন। কিটো ডায়েট করার সময় রোজ সঠিক সময় ঘুমান। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমান। ডায়েট করার সময় পর্যপ্ত সময় ঘুমান। ঘুম ঠিক না হলে সারা দিন দুর্বল লাগে। তার ওপর কিটো ডায়েট করতে খাদ্যতালিকা সম্পূর্ণ বদলে ফেলতে হয়। ফলে এই সময় পর্যাপ্ত বিশ্রাম না নিলে দেখা দিতে পারে বিপদ।
নুন গ্রহণ বৃদ্ধি করতে হবে কিটো ডায়েট করতে। হাই কার্ব ডায়েটে স্বাভাবিকের থেকে ইনসুলিনের মাত্রা বেশি থাকে। যা কিডনি ঠিক রাখতে সোডিয়াম উৎপাদন করে। তাই কিটো ডায়েটে কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ কম করেন। তখন ইনসুলিনের মাত্রা কমে যায় ও শরীর থেকে অনেক বেশি নুন নিঃসরণ হয়। এই সময় বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মেনে নুন খান।
এই সময় প্রচুর জল পান করুন। ডায়েটিং এর সময় অনেকে ডিহাইড্রেশনের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাইলে প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে। কিটো ডায়েট করলে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। এতে শরীর থাকবে সুস্থ। সঙ্গে কমবে ওজন।
এই সময় কম কার্ব যুক্ত সবজি খান। ব্রকলি, ফুলকপি, মাশরুম, লেটুস পাতা রাখুন তালিকাতে। এই সময় ভিটামিন ও পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খান। শাকসবজিতে ফাইবার থাকে। যা শরীরে হজম ক্ষমতা উন্নত করে। সবজিতে অ্যান্টি অক্সিডেন্টগুলো শরীরকে ফ্রি রাডিক্যাল দ্বারা রক্ষা করতে সাহায্য করে যা কোষের ক্ষতি করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
রোজ সামুদ্রিক মাছ খেতে পারেন। এটি ভিটামিন বি, সেলেনিয়াম ও পটাসিয়াম সমৃদ্ধ, স্যামন ও অন্যান্য মাছ প্রায় কার্ব মুক্ত। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। কিটো ডায়েট করার সময় রোজ সামুদ্রিক মাছ রাখুন তালিকাতে। এতে মিলবে উপকার। ওজন যেমন কমবে তেমনই দূর হবে শরীরের সকল ঘাটতি।
পনির খেতে পারেন। কিটো ডায়েট করার সময় খাদ্যতালিকায় রাখুন পনির। এটি শরীর সুস্থ রাখে। সকল ঘাটতি পূরণ করে। কিটো ডায়েট করতে সঠিক ভাবে সাজান খাদ্যতালিকা। তা না হলে দেখা দিতে পারে কঠিন বিপদ। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।
এই সময় ভুলেও মিষ্টি দই খাবেন না। মিষ্টি দইতে প্রায় ৪৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট থাকে। যা শরীরের ক্ষতি করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। এই সময় ভুলেও মিষ্টি দই খাবেন না। খেতে পারেন টক দই। এটি শরীর রাখে সুস্থ। সঙ্গে ওজন কমাতে সাহায্য করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপল।
এই সময় ভুট্টা ও মিষ্টি আলুর মতো সবজি খাবেন না। উচ্চ স্টার্চ শাকসবজিতে ফাইবারে চেয়েও বেশি কার্বোহাইড্রেট থাকে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। কিটো ডায়েটের কদিন সঠিক পরিমাণ মতো খাবার তো খাবেনই সঙ্গে সঠিক খাবার খান। তা না হলে দেখা দিতে পারে জটিলতা।
কিটো ডায়েটে খেতে পারেন ব্ল্যাক টি। এতে আছে থানাইন নামক অ্যামোইনো অ্যাসিড। স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে ব্ল্যাক টি। এতে থাফ্লাভিন আছে। যা হার্ট ও রক্তনালী ভালো রাখে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। সঠিক খাবার খান কিটো ডায়েট করার সময়। তা না হল হতে পারে বিপদ।