ডেঙ্গুর নতুন স্ট্রেন DEN2 গুরুতর। অসুস্থতার ঝুঁকি ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে প্রত্যেকেরই দূরে থাকা জরুরি।
ডেঙ্গু প্রকোপ ক্রমশই বাড়ছে এই দেশে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই মহারামির আকার নিয়েছে। এই অবস্থায় আরও খারাপ কথা শোনাল বিজ্ঞানীরা। ডেঙ্গু ভাইরাসের নতুন রূপ বা ভ্যারিয়েন্ট DEN2 আবিষ্কার হয়েছে। যা আরও জটিল। সম্প্রতি এটি নয়ডায় শনাক্ত করা হয়েছে। বিজ্ঞানীদের কথায় এটি ডেঙ্গু ভাইরাসের একটি মিউটেশন।
ডেঙ্গুর নতুন স্ট্রেন DEN2 গুরুতর। অসুস্থতার ঝুঁকি ক্রমশই বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই ভাইরাস থেকে প্রত্যেকেরই দূরে থাকা জরুরি। সেই কারণে DEN2 এর লক্ষণ, কারণ ও প্রতিরোধমূলত ব্যবস্থাগুলি জানার প্রয়োজন রয়েছে।
DEN2 কি
ডেঙ্গু একটি মশা বাহিত রোগ। এটি খুব দ্রুত ছড়ায়। ডেঙ্গু রোগের ভাইরাস DENV নামে পরিচিত । ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ হল DENV-1, DENV-2, DENV-3 এবং DENV-4। এই চারটের যে কোনও একটিতে আপনি আক্রান্ত হতে পারেন। মূলত স্ত্রীমশা এডিসেজিপটি ও অ্যালবোপিক্সটাসের কামড়েই এই রোগ ছড়ায়। এই মশা চিকনগুনিয়া, হলুদ জ্বর, জিকা ভাইরাসের জন্য দায়ী। তবে DENV-2কে সবথেকে গুরুতর বলে দাবি করা হয়। অন্যান্য রূপের তুলনায় এটি বেশি সংক্রামক।
DENV-2র লক্ষণ
মাড়ি বা নাক থেকে রক্ত পড়া, প্রচন্ড পেটে ব্যাথা করা, ক্রমাহত বমি হওয়া, শ্বাস-প্রশ্বাসের গতি বেড়ে যাওয়ায়, ক্লান্তি ও অস্থিরতা তৈরি হওয়ায়। সময় মত চিকিৎসা না হলে জীবনের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
DENV-2 এর প্রতিরোধ উপায়
ভাইরালের বিস্তার রোধের জন্য প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। প্রথমত বাইরে যাওয়ার সময় ফুলহাতা জামা ও ফুলপ্যান্ট পরা জরুরি। দ্বিতীয় ঘরে যাতে মশার উপদ্রোব না বাড়ে তার ব্যবস্থা করতে হবে। তৃতীয়ত মশার বংশবৃদ্ধি রোধে জল জমতে দেওয়া যাবে না। বাড়ির চারদিক পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি।
ডেঙ্গের কোনও উপসর্গ দেখলেই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। প্রবল জ্বরের সঙ্গে প্রবল মাথাব্যাথা বা গাঁটে গাঁটে ব্যথা এটির একটি মূল উপসর্গ। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ডেঙ্গুর জন্য রক্তপরীক্ষা করাতে হবে। DENV-2র হলে পুরোপুরি চিকিৎসার প্রয়োজন রয়েছে।
DEN2 সংক্রমণের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার পাশাপাশি, জনগণকে তাদের এলাকায় সামগ্রিক মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। এটি মূলত জলাশয় থেকে ছড়ায়।
DEN2 চিকিত্সা
DENV-2 এর চিকিৎসার আগে ভাইরোলজিক্যাল এবং সেরোলজিক্যাল পরীক্ষা করা হয়। অসুস্থতার প্রথম সপ্তাহে সংগৃহীত রোগীর নমুনার সেরোলজিক্যাল এবং ভাইরোলজিক্যাল (RT-PCR) পরীক্ষা। এর পর ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা শুরু হয়।