ভারতে ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ রয়েছে যারা তামাক ব্যবহার করে। ১০লক্ষেরও বেশি মানুষ তামাকের কারণে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে।
ধূমপান স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ধূমপানের কারণে একদিনে পরিবেশ দুষিত হয়। অন্যদিকে ধূমপান ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। ধূমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়। ধূমপেয়ীদের কাছে এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস বা নেশা ত্যাগ করা কঠিন। কিন্তু তাদেও বিশ্বের বিশেষজ্ঞদের কথাই এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস ত্যাগ করা জরুরি।
ভারতে ২৬ কোটিরও বেশি মানুষ রয়েছে যারা তামাক ব্যবহার করে। ১০লক্ষেরও বেশি মানুষ তামাকের কারণে জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারাচ্ছে। ধূমপানের কারণে হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়ার মত রোগও শরীরে দানা বাঁধতে পারে।
ধূমপান না করার দিন
মার্চ মাসের দ্বিতীয় বুধবার নো স্মোকিং ডে হিসেবে পালন করা হয়। চলতি বছর সেই দিনটি পড়েছে আগামিকাল অর্থাৎ ১৩ মার্চ। ১৯৮৪ সালে ব্রিটেনে প্রথম নো স্মোকিং ডে পালন করা হয়।
নো স্মোকিং ডে এখন বার্ষিক স্বাস্থ্য সচেতনতা দিবস হিসেবে পালন করা হয়, যার উদ্দেশ্য ধূমপায়ীদের ধূমপানের নেতা ত্যাগ করতে সাহায্য করা। ২০১০ সাল থেকে ধূমপান মুক্ত দিবস হিসেবে দিনটিকে পালন করা হয়। এর মূল উদ্দেশ্যই ছিল তামানের নেশা ত্যাগ করতে উৎসাহিত করা।
ধূমপান ছাড়ার সেরা উপায়
১. যেসব জায়গা বা যাদের সঙ্গে আপনি আগে ধূমপান করেন বা করতে তাদের সঙ্গে যখন মিশবেন তখন সাবধান হয়ে যান। তারা যখন ধূমপান করবে বা তামান সেবন করবে তখন সেখান থেকে চলে আসুন।
২. ধূমপানের নেশা কাটাতে টানা কিছুদিন চিনি ছাড়া চুইংগাম বা হার্ড ক্যান্ডি খেতে পারেন। পাশাপাশি কাঁচা গাজর, বাদাম মুখে রাখতে পারেন
৩. ধূমপেয়ীদের অভ্যস হল চাপে পড়লে ধূমপান করা। তাই ধূমপান ছাড়ৃতে হলে সকলের আগে নিজেকে চাপমুক্ত রাখুন। প্রয়োজনে গান শুনুন। যোগব্যায়মও করতে পারেন।
৪. ধূমপান ছাড়ার কথা যখনই মনে হবে তখনই ত্যাগ করুন। এটাই শেষবারের মত নিচ্ছি এটা কখনই ভাববেন না।
৫. ধূমপান ছাড়তে হলে মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে পারেন। তাতে নেশামুক্তিতে আরও সুবিধে হতে পারে।
৬. নিকোটিন প্রতিস্থাপন থেরাপি নিয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এটি ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে।
৭. ধূমপান ছাড়ার জন্য পরিবার ও বন্ধুদের সাহায্য নিতে পারেন। এরা সাধারণত অগ্রণী ভূমিকা নেয়।
৮. ধূমপায়ীদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। তাহলে নেশামুক্তিতে সুবিধে হবে।
৯. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার বেশি খান। এটি ধূমপান ছাড়তে সাহায্য করে। কডা গন্ধের আফটারসেফ ব্যবহার করতে পারে।
১০. সবথেকে বড় কথা হল নিজের ইচ্ছেশক্তি। আপনি যদি ধূমপান ছাড়তে চান তাহলে সবার আগে নিজের মনকে প্রস্তুত করুন। তাহলেই একাধিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।