এই মৌসুমে তাপ ও হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাকে কিছু টিপস বলছি যা আপনাকে হিট স্ট্রোক এড়াতে সাহায্য করবে। জেনে নেওয়া যাক কিভাবে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন
বৃষ্টি বন্ধ হলেই যেন আগুনের হলকা বইছে। আর যখন বৃষ্টি হচ্ছে না সেই সময় দিনের বেলা বাইরে টেকা দায়। এই হিট স্ট্রোক গরমে এখন সহজেই প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে। তাপপ্রবাহে এই বছর ইউপি ও বিহারে অনেকেই প্রাণ হারিয়েছে। হিট স্ট্রোকের কারণে বাড়ছে বমি, ডায়রিয়া, অজ্ঞানতা, বিপি সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। তাপ ও হিট স্ট্রোকের কারণে জীবন বাঁচানোও কঠিন হয়ে পড়ছে। এই মৌসুমে তাপ ও হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করা খুবই জরুরি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা আপনাকে কিছু টিপস বলছি যা আপনাকে হিট স্ট্রোক এড়াতে সাহায্য করবে। জেনে নেওয়া যাক কিভাবে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করবেন
১) হিট স্ট্রোক এড়াতে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, তবে শুধুমাত্র জল পান করে আপনি হিট স্ট্রোক এড়াতে পারবেন না, এর জন্য আপনাকে ইলেক্ট্রোলাইট সলিউশন, লেবুর জল, তাজা ফলের রস পান করতে হবে। অন্যদিকে, আপনি যখনই বাড়ির বাইরে যান, প্রচুর জল পান করুন এবং ফলের রস বা ওআরএস সলিউশন সঙ্গে রাখুন। আপনি এই পানীয়গুলো মাঝে মাঝে পান করে নিজেকে নিরাপদ রাখতে পারেন। অন্যদিকে রোদ থেকে বাড়িতে ফিরে তেষ্টা মেটানোর জন্য শুধু জলের উপর নির্ভর করবেন না, সঙ্গে ঠান্ডা দুধ, নারকেলের জল, আম পান্না। , শিকাঞ্জির মতো পানীয় পান করতে হবে।
২) সানস্ট্রোক থেকে নিরাপদ থাকতে, যখনই আপনি রোদ থেকে বাড়ি ফিরবেন, ঠান্ডা জায়গায় শুয়ে পড়ুন। সবার আগে মনে রাখবেন একটানা হাঁটবেন না। শরীর স্বাভাবিক বাতাস অনুভব করতে দিন। যখন তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত হলে, তখন হাওয়ার নীচে যান বা স্নান করুন
৩) হিটস্ট্রোক এড়াতে, এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি প্রচণ্ড রোদে বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন। কোন জরুরী কাজ থাকলে সকাল সকাল বাড়ি থেকে বের হয়ে সকাল ১০টার আগে আগেই গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন, কারণ সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সূর্যের প্রখরতা এত বেশি যে শরীরের তাপমাত্রা খারাপ হতে পারে এবং আপনি অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এছাড়াও এই সময়ে ব্যায়াম বা খেলাধুলা এড়িয়ে চলুন
আরও পড়ুন- দুধে হিং মিশিয়ে খেলে ৫ ধরনের সমস্যা দূর হয়, জেনে নিন এর দারুণ উপকারিতা
আরও পড়ুন- ক্যান্সার এখন আর চ্যালেঞ্জ নয়, শীঘ্রই আসছে ভ্যাকসিন এবার থেকে শেষ হতে পারে কেমোথেরাপির প্রয়োজনীয়তা
আরও পড়ুন- প্রতিদিন সকালে টক দই খাওয়ার ৫ উপকারিতা, যা এখন পর্যন্ত অনেকেরই অজানা
৪) গ্রীষ্মে সব সময় আরামদায়ক পোশাক পরুন। রোদে বের হওয়ার আগে সুতির কাপড় এবং ফুল হাতা কাপড় পরুন। আপনার মাথা এবং কান সুতির কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। পাশাপাশি একটি ছাতা ব্যবহার করুন। এই কারণে, সূর্যের তাপ আপনার মাথার সরাসরি ক্ষতি করে না এবং আপনি অসুস্থ হওয়া থেকে বাঁচতে পারেন।
৫) গরমের সময়ে চর্বিযুক্ত, মশলাদার এবং উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবার শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে এবং আপনাকে অসুস্থ করে তুলতে পারে। গরমে কখনই খালি পেটে ঘর থেকে বের হবেন না।
৬) ধনে এবং পুদিনা উভয়েরই শীতল বৈশিষ্ট্য রয়েছে। হিট স্ট্রোক এড়াতে আপনি গ্রীষ্মে প্রতিদিন ধনে এবং পুদিনার রস পান করতে পারেন।